ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

মেয়রের মুখ না হয়েও ফিরহাদের হাতেই কলকাতার কাণ্ডারী

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
মেয়রের মুখ না হয়েও ফিরহাদের হাতেই কলকাতার কাণ্ডারী

কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস, একক ক্ষমতায় তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করেছে।

অপরদিকে এই একুশেই, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা করপোরেশন ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

তবে, ক্ষমতায় এসে শাসক দলের প্রধান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এক ব্যক্তির এক পদ’। কিন্তু এবারের সিটি নির্বাচনে কিছুটা মত বদলিয়েছেন নেত্রী। আর তাই এবারও সিটি ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা রেখেছেন কলকাতার সাবেক মেয়র তথা বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ওপর। তিনি প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।

তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো নেত্রী জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর ঠিক হবে মেয়রের মুখ। যা ২০১০ এবং ২০১৫ সালের সিটি ভোটে এ রকমটা ঘটেনি। বিগত বছরগুলোয় ভোটের আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল মেয়রের মুখ।  

সূত্র মারফত জানা যায়, একুশের ভোটে মেয়রের পদে দলের একাধিক পছন্দের মুখ আছে। ফলে সব বিচার বিবেচনা হবে ভোটের শেষে। তবে, ফিরহাদ হাকিম অর্থাৎ কলকাতার ববি দাদা যে নেত্রীর ভোট বৈতরণীর অন্যতম কাণ্ডারী এ কথা নিন্দেহে বলা যায়। কারণ বিধানসভা ভোটে নিজের এলাকা ছাড়া ফিরহাদের হাতে অনেক দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এমনকি নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পর ভবানীপুর থেকে উপ-নির্বাচনে, ফিরহাদের ওপরেই ভরসা রেখেছেলিনে নেত্রী। এখন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তা সত্ত্বেও কাউন্সিলর পদের প্রার্থী করা হয়েছে ফিরহাদকে।

এবারের সিটি নির্বাচনে বিরোধীদের সেভাবে রাস্তায় দেখা মিলছে না। সে অনুপাতে মন্দের ভালো বামেরা। কিছুটা হলেও তাদের দেখা যাচ্ছে। বাকি কংগ্রেস-বিজেপিকে হাতে হারিকেন নিয়ে খোঁজার মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বলা যেতেই পারে, শাসক দলের গদিতে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিরোধীদের কেনো এমন অবস্থা? ফিরহাদ বলেন, আসলে ভারতবর্ষে বর্তমান যে শাসক দল আছে, যারা পশ্চিমবঙ্গে ভোট করতে এসেছিল। তারা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি-সেন্টিমেন্ট না জেনেই নির্বাচন করেছিলেন। যেটা বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। তাই তাদের নিজেদের দোষেই এখন কেন্দ্রীয় শাসক দল অর্থাৎ বিজেপি কলকাতার ভোট থেকে হারিয়ে গেছে। আর কংগ্রেস-সিপিএম, কখনও জোট বাধে আবার দর কষাকষি ঠিক না হলে জোট ভেঙে দেয়। নিজেদের দোষেই আস্তে আস্তে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, যে আমাদের কোনো বিরোধী নেই। ডেমোক্রেসিতে বিরোধীদের অত্যন্ত দরকার।

এরপরেই ফিরহাদ বলেন, কিন্তু আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, মানুষের সঙ্গে কাজ করছি এবং কলকাতার যেভাবে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখব।  কলকাতাকে লণ্ডন বানানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিন্তা নিয়েছেন তার সমকক্ষ করে তুলবো, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।

তবে, জয় সহজ হলেও বসে নেই ফিরহাদ হাকিমসহ শাসক দলের প্রার্থীরা। ভোটের দিন যত এগোচ্ছে ততই জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ফিরাদ নিজের ওয়ার্ডসহ বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও প্রার্থীদের জন্য জোর ক্যাম্পেন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।