ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

জীবনের শেষ অনশনে বসবেন আন্না হাজারে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
জীবনের শেষ অনশনে বসবেন আন্না হাজারে!

ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে অনশনে বসতে পারেন আন্না হাজারে। একই সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, এটাই হবে তার জীবনের শেষ অনশন।

গান্ধীবাদী অনশন আন্দোলনের জন্যই তাকে চেনেন দেশবাসী। দীর্ঘ আন্দোলন, অনশনের পর কার্যত তার চাপে পড়েই লোকপাল বিল পাস হয়েছিল সংসদে। সেই আন্না হাজারে এবার দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়ালেন।

কৃষকদের আন্দোলনের সুষ্ঠু সমাধান না হলে আগামী বছরে জানুয়ারির শেষেই তিনি ফের অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন ৮৩ বছরের সমাজকর্মী আন্না।

রালেগাঁও সিদ্ধিতে নিজের গ্রামে আন্না সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যার ওপর আমার কোনো আস্থা নেই। দেখা যাক, কেন্দ্র আমার দাবি-দাওয়া নিয়ে কী ব্যবস্থা নেয়। এক মাসের সময় চেয়েছে সরকার। তাই জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি না মিটলে ফের অনশন আন্দোলন চালু করব।

গত প্রায় ৩ বছর ধরে কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন করে চলেছেন আন্না। সরকারকে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়াও পেশ করেছেন। সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ৩টি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কৃষকরা। দিল্লির সিংঘু সীমানায় ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। সেই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে আরও একবার অনশন আন্দোলনকে হাতিয়ার করতে চলেছেন আন্না।

গত ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে একটি চিঠি লিখেছিলেন আন্না। তার দাবি ছিল, এম এস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশগুলো কার্যকর করতে হবে এবং কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণে কমিশন ফর অ্যাগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইসেস (সিএসিপি)-কে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। এই দাবি না মানলে অনশনে বসার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তারপর মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার হরিভাউ বাগাড়ে আন্নার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কেন্দ্রের নতুন ৩টি কৃষি আইন সম্পর্কে তাকে ব্যাখ্যা দেন। তারপর গত ৮ ডিসেম্বর কৃষকদের ডাকা বন্‌ধে সমর্থন জানাতে ১ দিনের প্রতীকী অনশন করেন আন্না। এখন জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনে কোনো সমাধান সূত্র বেরোয় কি না, তার ওপরেই নির্ভর করছে আন্নার জীবনের শেষ অনশন।

সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।