ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

দলের বহু কাউন্সিলরকে বাদ দেবেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
দলের বহু কাউন্সিলরকে বাদ দেবেন মমতা

কলকাতা: ওয়ার্ডভিত্তিক হিসাব করলে লোকসভা ভোটের নিরিখে অনেক ওয়ার্ডেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যেই আবার চলতি বছরের এপ্রিল-জুনে কলকাতা করপোরেশন নির্বাচন। এর আগে রাজ্যের শাসকদল তাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে বর্তমান বহু কাউন্সিলরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এলাকাভিত্তিক এমন ব্যক্তিদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করতে চান যারা অঞ্চলে সুপরিচিতি ও যাদের সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। সেই ধরনের প্রার্থীর খোঁজে মমতার আদেশে দলীয় স্তরে সমীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।



দলের সমীক্ষা চলছে বর্তমান কাউন্সিলরদের কার্যকলাপ নিয়েও। কারণ লোকসভা ভোটের নিরিখে অনেক ওয়ার্ডেই পিছিয়ে আছে তৃণমূল। পিছিয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে দলীয় স্তরে তদন্ত করেই আগামী কলকাতা করপোরেশন নির্বাচনের লড়াইয়ে নামতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।

সেক্ষেত্রে কাউন্সিলারদের গত পাঁচ বছরের ভূমিকা, মানুষের সঙ্গে ব্যবহার, আচার-আচরণ, স্বজনপ্রীতি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সৃষ্টি- সবই সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ার পর তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে মার্চ মাসে প্রার্থীপদ চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে সমীক্ষার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়ে গেলো, যেসব এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে বেশি করে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের জনসংযোগ বাড়াতে ‘দিদিকে বলো’ নামে একটি নতুন কর্মসূচির সূচনা করেছেন মমতা এবং তার ভালোই সাড়া পাচ্ছেন।

মমতার এই পরিকল্পনা যে কাজে দিচ্ছে তার ফল পেয়েছে দল। সম্প্রতি রাজ্যের খড়্গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ জেলায় বিধানসভার উপনির্বাচনে তিনটিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়। এমনকী বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছেড়ে আসা আসন খড়্গপুর জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই ফর্মুলাতেই এগোতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কারণেই দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, সাংগঠনিক শক্তি ও এলাকায় সুনাম রয়েছে এমন সুযোগ্য ব্যক্তিদের খোঁজ চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ড ধরেই একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে সেই সমীক্ষার কাজ চলছে।

সেই সমীক্ষায় প্রাথমিক রিপোর্টে বহু কাউন্সিলর সম্পর্কে ভালোই বিরূপ প্রতিক্রিয়া মিলেছে। এছাড়া ওই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে বহু কাউন্সিলরের স্বজনপ্রীতি, আচার-আচরণ, দুর্ব্যবহার, ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।

অথচ মমতা কিন্তু প্রতিটি সভায় বলে আসছেন, তৃণমূলকর্মীদের মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। আচরণ এমন হবে যে, মানুষ তাকে দেখিয়ে প্রশংসার সুরে যেন বলতে পারে, ওই দেখো তৃণমূল কর্মী যাচ্ছে। মানুষের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সামাজিক পরিষেবা প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষকে বোঝাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad