ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

স্থান নির্দিষ্ট হলে বরাদ্দ বাড়বে বাংলাদেশ বইমেলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৮
স্থান নির্দিষ্ট হলে বরাদ্দ বাড়বে বাংলাদেশ বইমেলার বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত/ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: আমার ৮৬ বছর বয়স হতে চললো। আমি বইমেলাকে সব সময় উৎসব মনে করি। কলকাতা আমার প্রিয় স্থান। তাই সুযোগ পেলেই কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলায় চলে আসি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি আমাদের নির্দিষ্ট স্থান ও নির্দিষ্ট সময় বইমেলার জন্য নির্ধারণ করে দেয়, নিশ্চয়ই বরাদ্দের পরিকল্পনা করবো। 

শুক্রবার (২ নভেম্বর) অষ্টমবারের মতো শুরু হওয়া কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা হিসেবে আমাদের মাতৃভাষা অনেক পুরনো।

আর এতো প্রাচীন বলেই আমাদের সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ। এই ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে আমার যা যা সহযোগিতা দরকার নিশ্চয়ই করবো। আর রাজ্য সরকার যদি চায় তাহলে আমরা ঢাকায় পশ্চিমবাংলা বইমেলার ব্যবস্থা করতেই পারি।

এর আগে বাংলাদেশ বইমেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও নির্দিষ্ট সময় দাবি করেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। আর অর্থমন্ত্রীর কাছে তার আবেদন ছিল বাড়ানো হোক বরাদ্দ।
 
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ভাষার জন্য একটা রাষ্ট্র গঠন। বাংলাদেশকে আমার সেলাম জানাই। পশ্চিমবাংলার কাছে বাংলাদেশ সব সময় প্রিয়। তাই যতবার বইমেলার জন্য আবেদন করা হয়েছে, ততবারই আমরা আগে তা দিয়েছি। এটা ঠিক মেলাটি নির্দিষ্ট স্থান ও সময়ে হলে আরও প্রচার পাবে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করলে নিশ্চয়ই মেয়র পারিষদে বিষয়টা তুলবো।

প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, কলকাতার উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ বিশিষ্টজনেরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
দশ দিনব্যাপী বইমেলায় ২৫ হাজার শিরোনামে সরকারি ও বেসরকারি প্রকশনা নিয়ে ৬৯টি প্রকাশনা অংশ নিচ্ছে। যা গতবার ছিলে ৪৭টি। মেলা চলবে স্থানীয় সময় প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, শনি ও রোববার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মেলা শেষ হবে ১১ নভেম্বর। মেলায় ৬১টি স্টলে বিপুল বাংলাদেশি বইয়ের সম্ভারের সঙ্গে কলকাতাবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ থাকবে প্রতিদিন দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।