ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

পূজার আগেই উৎসবে মেতেছেন কলকাতাবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
পূজার আগেই উৎসবে মেতেছেন কলকাতাবাসী পূজা মণ্ডপ_ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: যতো বছর যাচ্ছে, কলকাতায় শারোদৎসবও এগোচ্ছে। কয়েক বছর আগেও ষষ্ঠীতে মণ্ডপগুলোয় দেবী দর্শন করা যেতো না। চতুর্থী, পঞ্চমীর আগে তো মণ্ডপে প্রতিমাই ঢুকতো না। ষষ্ঠীর আগে যদিওবা ঢুকতো, ঢাকা থাকতো দুষ্টের দমনকারিনী চিন্ময়ী মুখ। ফলে প্রশ্নই উঠতো না দেবী দর্শনের। যদিও ওই সময় ফাঁকায় ফাঁকায় নামকরা মণ্ডপ আর তাদের চিত্র-বিচিত্র রকমারি আলোর বাহার দেখে, তার বর্ণনা দিয়ে পাড়ার আড্ডায় ‘হিরো’ বনতেন অনেকে। তা সত্ত্বেও পূজার আগেই পূজায় মাতায় বেশির ভাগেরই মন সায় দিতো না।
 

ধীরে ধীরে সময়ের বিবর্তনে কলকাতায় সাবেকী ঘরনা পরিবর্তন হতে থাকে থিমে। পঞ্চমী, চতুর্থী, এমনকি তৃতীয়াতেও শুরু হতে থাকে দেবী দর্শন।

আর এ বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে মূল পূজার অনেক আগেই মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনালগ্নেই পূজা নামক উৎসবে সামিল বাঙালি। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। ভিড়ও বেড়েছে, বেড়েছে আলোর ছটাও। উৎসবে মাতোয়ারা পূজা শুরুর আগে।
 
ফলে কলকাতার অন্যতম প্রধান উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এতোদিনকার ঐতিহ্য, ধারণা ও মিথ-সবই ভেঙে নতুন ট্রেন্ড গড়লেন বাঙালিরাই। ষষ্ঠী থেকে দশমী- পাঁচদিনে আর বাধা রইল না পূজার আনন্দ-উচ্ছ্বলতা। ছোট-বড় মণ্ডপে এখন থেকে মানুষের আনাগোনা, উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে বলা যায়, এ বছর থেকে বাঙালির সেরা এ উৎসব ১৫ দিনের! মহালয়া থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত!
 
কিন্তু কেন এতো আগে থেকে দেবী দর্শনের তাড়া? অনেকেই বলছেন, কলকাতায় এখন আর একই ধরনের প্রতিমা বা সেই মন্ধাতার আমলের মতো মণ্ডপ তৈরি হয় না। সবকিছুর মধ্যে আধুনিকতা ও শিল্পের ছোঁয়া লেগেছে। সারা কলকাতায় ১২শ’র মতো পূজা এবং প্রতি পূজার চিন্তাধারা ভিন্ন। কারোর সঙ্গে কারো মিল নেই। এসব কি মিস করা যায়? তাই মহালয়া থেকে যদি কিছুটা আগেভাগেই উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা, সল্টলেক প্রভৃতি এলাকার ঠাকুর দর্শন সেরে ফেলা যায়। তাহলে পূজায় তুঙ্গে থাকা দিনগুলো ভিড়ের অত্যাচার সহ্য করতে হবে না। ওই সময়টা পাড়ায় বা আত্মীয় বাড়িতে নিজের মতো করে কটা দিন কাটানো যাবে। তবে যে বা যারা যাই যুক্তি দিক না কেন, মহালয়া থেকে দেবী দর্শনে নেমে এ বছর পূজার আগেই উৎসব শুরু করে দিয়েছে কলকাতাবাসী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
ভিএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।