ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

কলকাতায় উত্তম কুমারের জন্মদিন উদযাপিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৭
কলকাতায় উত্তম কুমারের জন্মদিন উদযাপিত কলকাতায় উত্তম কুমারের জন্মদিন উদযাপিত, ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: যার অভিনয়ে মুগ্ধ হয় গোটা বাংলার দর্শক। বাংলা সিনেমায় যার মতো রোমান্টিক হিরো এখনও কেউ নেই। যিনি পশ্চিম বাংলার সিনেমার সর্বকালের সফল সেরা অভিনেতাদের মধ্যে একজন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার।

সফল অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক, উত্তম কুমার জন্ম নেন ১৯২৬ সালের আজকের এদিনে কলকাতার ভবানীপুরে মধ্যবিত্ত পরিবারের।

তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়।

ছায়াছবি জগতে পা রেখে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। কারণ তিনি জানতেন, চলচ্চিত্রে তিনিই একদিন 'উত্তম' হবেন।

সম্পূর্ণ শিক্ষা শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরি শুরু করেন সংসারের হাল ধরতে। কলকাতায় উত্তম কুমারের জন্মদিন উদযাপিত, ছবি: বাংলানিউজঅরুন কুমার চট্টোপাধ্যায়ের অন্তরে ছিলো সুপ্ত অভিনয় ইচ্ছা। রূপালি পর্দায় উত্তম কুমারের শুরু ‘মায়াডোর’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কিন্তু মন্দা কপালে শেষ পর্যন্ত ছবিটি দেখতে পায় না মুক্তির আলো।

এরপর প্রথম ছবি হিসেবে ‘দৃষ্টিদান’ মুক্তি পেলেও দর্শকের খুব বেশি দৃষ্টি পড়লো না। ‘বসু পরিবার’ ছবিটি দিয়ে খানিকট পরিচিতি জুটে। ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবি দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন উত্তম কুমার। এই ছবির মধ্য দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্র পায় তার সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা।

শুরু হয় উত্তম যুগ। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে  ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ আর ‘সাগরিকা’-এর মতো কালজয়ী সব ছবির পরিচিত ও আকাঙ্খিত মুখ হয়ে ওঠে উত্তম।

উত্তম কুমার শুধু যে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন তা কিন্তু নয়। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

 এরপর সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘নায়ক’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ -তে  উত্তম কুমার নিজেকে পৌরুষদীপ্ত, সুঅভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেন।

আজ তাকে স্মরণ করে গোটা টলিউড পালন করলো ৯১ তম জন্মদিন। জন্মদিন পালন হয় পশ্চিমবাংলার প্রশাসনিক ভবন নবান্নেও।

আবাসন ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তার ছবিতে মাল্য দান করেন।

এরপর সচিবালয়ে পশ্চিম বাংলার তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়াও তার বিশাল ভাস্কর্য মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন অভিনয় জগতে প্রবীন ও নবীন কলাকুশলিরা।

সেই ভুবন ভোলানো হাসি, প্রেমিকসুলভ আচরণের বাইরেও যে থাকতে পারে একজন সাধারণ মানুষ, মূলত সেটাই তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন তার জীবদ্দশায়।

 ১৯৮০ সালের ২৪শে জুলাই চিরবিদায় নেয়ার পরও হয়ে আছেন পশ্চিম বাংলার মানুষের মনে, এবং চিরদিন সেখানেই থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৭
এসএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।