ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

ভারত

অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি আরও কঠোর হচ্ছে ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০০, মে ১৯, ২০২৫
অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি আরও কঠোর হচ্ছে ভারত

কলকাতা: ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, যে সবাইকে আশ্রয় দেবে—সোমবার (১৯ মে) শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মামলায় এমন মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

তিন বছর আগে দক্ষিণ ভারত থেকে গ্রেপ্তার হন ওই শ্রীলঙ্কান নাগরিক।

চেন্নাই আদালত তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে তিনি শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন এবং দাবি করেন, শ্রীলঙ্কায় তার প্রাণহানি হতে পারে, তাই তাকে ভারতে থাকতে দেওয়া হোক।

কিন্তু বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রর বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারপতি দত্ত বলেন, ভারতের নিজস্ব ১৪০ কোটি মানুষ রয়েছে। এটা কোনও আশ্রয়শিবির নয় যে গোটা বিশ্বের নাগরিকদের জন্য ব্যবস্থা করবে।

আদালত নির্দেশ দেয়, সাজা শেষ হওয়ার পর ওই নাগরিককে অবিলম্বে ভারত ছাড়তে হবে।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যেসব নাগরিক নিজেদের ভারতীয় দাবি করছেন, তাদের আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিচয় ও নাগরিকত্ব সম্পর্কিত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

ওই সময়সীমার মধ্যে তারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক প্রমাণিত করতে না পারলে অর্থাৎ অনুপ্রবেশকারী প্রমাণিত হলে ৩০ দিন পর থেকে তাদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সেজন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে দিল্লি। পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোয় পর্যাপ্ত ডিটেনশন সেন্টার তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, অনুপ্রবেশকারী বাছাই এবং ফেরত পাঠানো দিল্লির নতুন নির্দেশিকা নয়। তবে আগে কখনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। আগে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করা সন্দেহভাজনদের নথি যাচাই করতে সময় লেগে যেত, কিন্তু এখন তা দ্রুত করতে বলা হয়েছে। সেজন্য ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত ওই সন্দেহভাজনদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে।  

ভিএস/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।