ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, শোকস্তব্ধ মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা, শোকস্তব্ধ মমতা

কলকাতা: বছর শেষে বাংলার রাজনীতিতে নক্ষত্রের পতন। প্রয়াত হলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহা।

তিনি ছিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স ছিল ৬৯ বছর।

মন্ত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুব্রত। চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে সিসিইউতে রাখা হয় তাকে। বেলা ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। তার প্রয়াণে এদিন রাজ্যের সব সরকারি দফতর বেলা ২টার পর ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। দলের সহকর্মীকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শোকপ্রকাশ করে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স ছিল ৬৯ বছর। সাগরদিঘির তিনবারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

মমতা লেখেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান স্মরণীয় থাকবে। তার প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হলো। আমি তার পরিবার-পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুব্রত সাহা। ২০১১ সালে সাগরদিঘি থেকে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন। সেবার কংগ্রেস গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র তিনিই ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। এরপর টানা তিনবার ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। তার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
ভিএস/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।