ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

সতর্ক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, মাস্ক বাধ্যতামূলক করল কর্ণাটক সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
সতর্ক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, মাস্ক বাধ্যতামূলক করল কর্ণাটক সরকার

কলকাতা: ফের করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিলে কীভাবে সামাল দেওয়া হবে-  এই প্রশ্নে রোগীদের পর্যাপ্ত পরিষেবার আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে।  

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সেই মহড়ার প্রথম দিনে পশ্চিমবঙ্গের ৪৪টি সরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

এদিন কলকাতার পাঁচটি এবং রাজ্যের ৩৮টি হাসপাতাল ঘুরে স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের বিশেষজ্ঞ টিম।  

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে ২৯টিতে বুধবার এই মহড়া চলবে। বৃহস্পতিবার আরও ১৯টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খতিয়ে দেখা হবে করোনাবিষয়ক চিকিৎসা পরিষেবা।

সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর এক করোনা আক্রান্ত বিদেশি নারীর খোঁজ মেলে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে সরকারি একটি হাসপাতালে। এরপরই সংক্রমণের ঢেউ রুখতে শুরু হয়েছে তৎপরতা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড নিয়ে গাইডলাইন দিয়েছে।  

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোভিড মোকাবিলার জন্য হাসপাতালগুলোর পর্যাপ্ত শয্যা, চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা, অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা, করোনা পরীক্ষার পরিস্থিতি, অক্সিজেন ও ভার্চুয়াল মেডিসিন পরিষেবার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।  
এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শয্যাসংখ্যা, লাইফ সাপোর্ট যন্ত্র, আইসিইউ, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, কতজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তার বিশদ তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে।  

এ ছাড়া ওষুধ, পিপিই কিট, পালস অক্সিমিটার, ডায়ালাইসিস চিকিৎসার পরিস্থিতিও জানাতে বলা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মহড়ার মাধ্যমে তালিকা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।

সেসব বিষয় মাথায় রেখেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ছয়টি পথ বেছে নিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অন্তত ৩০ জন করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাসের জিন পরীক্ষা করা, লাগাতার লাইফ সাপোর্ট ব্যবস্থার ওপর নজরদারি রাখা যাতে সময়ে কার্যকর করতে কোনো অসুবিধা না হয়, প্রতিটি হাসপাতালে নতুন করে কোভিড ইউনিট সক্রিয় করে তোলা,
আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাড়াতে কিটস কেনার সিদ্ধান্ত, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না হাসপাতালগুলো এবং সমস্ত অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর সঙ্গে রাজ্য সরকার চুক্তিবদ্ধ হবে যাতে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের কোনোরকম ঘাটতি না থাকে।

অপরদিকে ভারতের মধ্যে প্রথম মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিল কর্ণাটক সরকার। রাজ্যটিতে পাবলিক প্লেসে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সামনেই ইংরেজি নববর্ষের উদযাপন, এই সময়ে বার ও রেস্তোরাঁয় যারা যাবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। বাস, ট্রেন, স্কুল, কলেজ, মল ও সিনেমা হলেও পরতে হবে মাস্ক।  

সোমবার কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে. সুধাকর বলেছেন, চীনের পরিস্থিতি দেখেই আগাম সতর্ক হতে চায়। সে কারণেই কর্ণাটক সরকার দ্রুত বাধ্যতামূলক করল পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
ভিএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।