ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

স্তন ক্যানসার সচেতনতা: ১০০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২২
স্তন ক্যানসার সচেতনতা: ১০০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু আলোচনা সভা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে ১০০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেন্টার ফর ক্যানসার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (সিসিপিআর)।

শনিবার (২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সিসিপিআর আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কাউন্টডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়।



সিসিপিআর সভাপতি ও ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন জানান, আগামী ১০ অক্টোবর ১০ম বার স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উদযাপন করা হবে। এর ১০০ দিন আগে, এখানে আমরা সমবেত হয়েছি বিগত দিনের কর্মসূচি পর্যালোচনা এবং আগামীতে স্তন ক্যানসার সচেতনতায় একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কীভাবে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়ে সবার মতামত জানতে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে ১৯টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম গঠিত হয় এবং প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সিসিপিআর এই ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নেয়। কিছু সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এর আগে আলাদাভাবে অক্টোবর মাসে কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু একটি দিন যদি সবাই মিলে স্তন ক্যানসার সচেতনতার কথা বলি, তা জনমনে বড় প্রভাব ফেলবে, এই ছিল সে সময়ের প্রত্যাশা। গত নয় বছরে এই দিবস উদযাপনে সচেতন মহলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।  

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের নারীদের প্রধান এই ক্যানসার প্রতিরোধে একটি বিশেষ দিনের কর্মসূচি যথেষ্ট নয় এবং আমরা সারা বছর এ নিয়ে কাজ করে থাকি, তবে সবাই মিলে একটি দিনে একসঙ্গে স্তন ক্যানসার নিয়ে কাজ করার ইতিবাচক প্রভাব আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ দিবসের কার্যক্রম ও তাৎপর্য গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে বলে জানায় সিসিপিআর।

সভায় সংগঠনটির প্রস্তাবগুলো- বেসরকারিভাবে গত নয় বছর স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উদযাপন, সরকারিভাবে ১০ অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা ও জাতীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ, স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামে ক্যানসার, নারীস্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে, এমন আগ্রহী  সংগঠনসমূহকে যুক্ত করে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি, সদস্য সংগঠনের বাইরে সহযোগী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানদের একটি তালিকা করা হবে, যারা এবারের কার্যক্রমে কোনোভাবে সম্পৃক্ত থাকবে, গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট  ও বিভিন্ন পেশার নারী সংগঠনগুলোকে এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, এক হাজার নারীকে ফ্রি প্রাথমিক স্ক্রিনিং ও স্বল্প খরচে ম্যামোগ্রাম, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেওয়া, ঢাকার বাইরে এই স্ক্রিনিং সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে, একটি হেল্পলাইন চালু করা।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জন হপকিন্স  ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ফ্যাকাল্টি ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সাধারন সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ পলি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।