ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

খুলনায় বুস্টার ডোজ পেলেন ৪ লাখ মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
খুলনায় বুস্টার ডোজ পেলেন ৪ লাখ মানুষ

খুলনা: খুলনায় বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪ লাখ ৭ হাজার ৯২৩ জন মানুষ।

খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মে মাসের সভায় এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিভিল সার্জন জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। এটি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের লক্ষ্যমাত্রার ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৬৮ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ ১৫ শতাংশ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। বুস্টার ডোজ গ্রহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ পর্যন্ত জেলায় প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ২০ লাখ ৪৩ হাজার চারশত ২৩ জন, দ্বিতীয় ডোজ ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৬ জন এবং বুস্টার ডোজ চার লাখ সাত হাজার ৯২৩ জনসহ মোট ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ১২ জন করোন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।

সভায় সমাজসেবা অধিদপ্তরে উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন বলেন, চলতি অর্থ বছরে খুলনা জেলার ৭টি উপজেলায় বয়ষ্কভাতা ২৯ হাজার একশত ৯৯ জন, বিধবাভাতা ১৬ হাজার একশত ৭জন, প্রতিবন্ধীভাতা তিন হাজার তিনশত ৮৯ জন এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি সাতশত ২৭ জনকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬০০ জন ক্যান্সার ও কিডনি রোগীকে তিনধাপে এক কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী একযোগে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হবে। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। চার লাখ ট্যাব ব্যবহার করে এই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান সভাপতি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে গল্লামারীসহ ময়ূর নদ সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এছাড়া সভাপতি অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলেন।

সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক জলাবদ্ধতা নিরসন, সেচ ব্যবস্থাপনা ও সুপেয় পানি সংরক্ষণে সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশেষ করে দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় খাল খননের লক্ষ্যে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি এবং মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে বলেন।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমান খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমআরএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।