ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

কারা হাসপাতালে জনবল সংকট, চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনও

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২১
কারা হাসপাতালে জনবল সংকট, চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনও

ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) ১৭২ শয্যার কারা হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন দুই জন। ইসিজি মেশিন থাকলেও এক বছর ধরে নতুন এক্স-রে মেশিন পড়ে আছে।

টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে সেটাও এক বছর হলো চালু হয়নি। ওই হাসপাতালের রোগীদের কিছু ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে কিন্তু জনবল সংকটের কারণে বন্দী রোগীদের দ্রুত সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে।

কারা চিকিৎসকরা বলছেন, কম করে হলেও কারা হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক দরকার। পাশাপাশি ৫ জন সেবিকা ও ল্যাব টেকনিশিয়ান দুই জন হলে ভালো হয়। এছাড়া ফিজিওথেরাপি মেশিন ও ফিজিওথেরাপিস্ট কোনটাই নেই। স্ট্রোকজনিত রোগের কারণে প্যারালাইসিস রোগী আছে। সেসব রোগীদের থেরাপি দিতে হয়। তাছাড়া আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনও নেই।

সোমবার (৮ নভেম্বর) কারাগার থেকে একটি সূত্র জানান, ১৭২ শয্যা চারতলা কারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর জন্য চিকিৎসক আছেন দুই জন, নার্স দুই জন ও ল্যাব টেকনিশিয়ান আছেন এক জন। এই দুই জন চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। সকালে বন্দী রোগীদের লাইন লেগে যায়।

এই ব্যাপারে কারা হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শুভ বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, শুধু কাশিমপুর কারাগারে নারী বন্দী ছাড়া দেশের সব কারাগার থেকে ঢাকা কারাগারে বন্দী রোগীরা আসে চিকিৎসা নিতে। প্রথমে রোগীদের কারা হাসপাতালে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে নিয়মানুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য কারারক্ষীদের প্রহরায় তাদের ঢাকার সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু কারা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পাশাপাশি বাইরে জেলা কারাগার থেকে আগত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এত রোগী অথচ দুই জন চিকিৎসক ও দুই জন নার্স দিয়ে চলেছে কারা হাসপাতাল! আজকে কারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন আনুমানিক ৬২ জন। রোগীদের ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে হয়।

তিনি বলেন, কারা হাসপাতালে ইসিজি মেশিন থাকলেও নতুন এক্স-রে মেশিন এক বছর ধরে পড়ে আছে। টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে সেটা চালু করা যাচ্ছে না। কম করে হলেও কারা হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক দরকার। এছাড়া ৫ জন নার্স ও ল্যাব টেকনিশিয়ান দুই জন হলে ভালো হয়। এছাড়া ফিজিওথেরাপি মেশিন ও ফিজিওথেরাপিস্ট কোনটাই নেই। স্ট্রোকজনিত রোগের কারণে প্যারালাইসিস বন্দী রোগী আছেন। সেসব রোগীদের থেরাপি দিতে হয়। তবে, রোগীদের জন্য কোনো ওষুধের সমস্যা নেই। সব ধরনের ওষুধ আমাদের কারা হাসপাতালে থেকে রোগীদের দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, জনবল বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টেকনিশিয়ানে অভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতলে নতুন এক্স-রে মেশিন পড়ে আছে? এ বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে, খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।