ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

মানুষ লাইন ধরে করোনা ভ্যাকসিন নিচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
মানুষ লাইন ধরে করোনা ভ্যাকসিন নিচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষ লাইন ধরে করোনা ভ্যাকসিন নিচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল, যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের সমালোচনা কাজে আসেনি।

এ পর্যন্ত সাড়ে ১৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছে।  

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মিলনায়তনে ৩৮তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক ভালো রয়েছে। এখানে করোনায় সংক্রমণ অনেক কম, মৃত্যুহারও কম। কিন্তু আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক বড় রাষ্ট্র করোনায় বিপর্যস্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩। চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন বলে গড় আয়ু বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ ভ্যাকসিন হিরো। চিকিৎসকরা এ গর্বের অংশীদার।  

তিনি আরও বলেন, আমি দুইবার এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখেই পূর্ণ মন্ত্রী করেছেন। এটা আমার সৌভাগ্য, পরীক্ষা দিচ্ছি প্রথম বছর ডেঙ্গু, পরের বছর করোনা। এটা দেশের মানুষ বিচার করবে।

নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন, আপনাদের সরকারি বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। মানুষের সেবা করবেন, এ ব্রত নিয়ে কাজ করবেন। মানুষ যখন পৃথিবীতে আসে, চিকিৎসকের ছোঁয়া নিয়ে আসে, আবার যখন পৃথিবী থেকে চলে যায়, চিকিৎসকের ছোঁয়া নিয়ে যাবে। এটা এমন একটি প্রফেশন।  

তিনি বলেন, আমরা যে দেশের মানুষ, সেদেশের সুবিধা পাবো। আমরা বাংলাদেশি হয়ে আমেরিকার সুবিধা চিন্তা করলে পাবো না। এখন গ্রামেও এসি চলে, টেলিভিশন চলে, ইন্টারনেট চলে। সুতরাং এখন গ্রামেও সব সুবিধা রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ ফাঁকি দিয়ে বড় হতে পারবে না। সেবা দিয়েই বড় হতে হয়। বিদেশে ক'জন লোক চিকিৎসা নিতে যায়, যারা টাকাওয়ালা তারা যায়। বাকিরা এদেশেই চিকিৎসা নেয়। তাই দেশের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেবেন। মানুষকে সেবা দেবেন, ঠকাবেন না।  

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, যারা আজকে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন, পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করবেন। বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর সেটা জানতে হবে। টিকা নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি।

স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর বলেন, গতানুগতিক চিকিৎসা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক চিকিৎসা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে, এজন্য প্রয়োজন উচ্চতর পড়াশোনা। সবাই সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নেবেন বলে আশা রাখি।  

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চারবার দেশ পরিচালনা করে এদেশের মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছেন। স্বাস্থ্য খাতে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। ফলে স্বাস্থ্য বিষয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকবার দেশ পরিচালনা করবেন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত, এদেশের তরুণ প্রজন্ম বিশ্বকে বলবে, আজ দেখো আমার সোনার বাংলাদেশ। আজ আমরা উন্নত।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য আরও রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
টিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।