ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

করোনা টিকা: জেএমআইয়ের দেড় কোটি সিরিঞ্জ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
করোনা টিকা: জেএমআইয়ের দেড় কোটি সিরিঞ্জ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ থেকে দেড় কোটি সিরিঞ্জ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড’ এই সিরিঞ্জ সরবরাহ করছে।

এ প্রসঙ্গে জেএমআই সিরিঞ্জেসের প্ল্যান্ট ম্যানেজার আব্দুল মজিদ জানান, টিকা প্রয়োগের জন্য অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়। দেশে এ সিরিঞ্জ উৎপাদনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা ক্রয় প্রস্তাব পাচ্ছি। ইন্দোনেশিয়ায় দেড় কোটি সিরিজ পাঠাচ্ছি আমরা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে দরদাম চলছে। গত ৩ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় ৮১ লাখ সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর বাকি ৬৯ লাখ সিরিঞ্জ পাঠানো হবে।  

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কোয়ালিটি আসিওরেন্স বিভাগের প্রধান মঈনুল ইসলাম জানান, করোনার মধ্যে আমাদের কারখানা একদিনের জন্যও বন্ধ ছিলো না। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নিয়ম মেনে কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই কারখানা চালু রেখেছি। ২০১২ সাল থেকে জেএমআই সিরিঞ্জের রয়েছে আইএসও ১৩৪৮৫.২০১৬ সনদ। যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। আর এই বছর করোনা টিকা কার্যক্রমে ব্যবহৃত এডি সিরিঞ্জ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করার অনুমতি হিসেবে সিই০০৬৮ সনদ নিয়েছি আমরা। এছাড়া পণ্যের মানের ব্যাপারে কোনো ছাড় দিচ্ছি না আমরা।

গত দুই দশক ধরে ইপিআইসহ সরকারের নানা ধরনের টিকা কার্যক্রমে সিরিঞ্জ সরবরাহ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এ মুহূর্তে রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে সিরিঞ্জ উৎপাদনে প্রস্তুত থাকার কথাও জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তরা।

জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেডের পরিচালক (কারখানা) গোলাম মোস্তফা জানান, করোনার টিকাদান কর্মসূচির জন্য সরকার চাইলে সিরিঞ্জ দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।