ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

ঢাকা: আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় সপ্তাহব্যাপী চলবে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি। হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণে এই ক্যাম্পেইন চলাকালে সারা দেশে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) মিলনায়তনে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের কারণে দেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে, এবার হাম-রুবেলা মুক্তও হবে। আমরা শিশুদের দশটির মতো টিকা দিয়ে থাকি। টিকা দানের মাধ্যমে আমরা দেশকে পোলিও মুক্ত করতে পেরেছি। টিকা দানের সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো খেতাব পেয়েছেন। এখন দেশকে হাম-রুবেলা মুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, টিকা স্বাস্থ্য খাতের অনন্য ব্যবস্থা। টিকা নিলে স্বাস্থ্যের ওপর চাপ কমে, অসুখ কম হয়। টিকার কারণে মানুষের আয়ুও বেড়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ শিশুকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। শিশুদের প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। শিশুরা আমাদের প্রিয়জন, তাদের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব অভিভাবকদের। আমরা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, বিসিপিএসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসি অ্যান্ড এএইচ অপারেশন প্ল্যানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বকস চৌধুরীসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞতিতে জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ছয় সমাপ্তব্যাপী চলবে এই টিকাদান কর্মসূচি। হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্যাম্পেইন চলাকালে সারা দেশে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। চলমান করোনা মহামারি বিবেচনা করে দেশে বিদ্যমান শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নিয়মাবলি যথাযথ প্রতিপালন সাপেক্ষে ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
পিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।