ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

প্রবাসীদের দেশে না আসার অনুরোধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২০
প্রবাসীদের দেশে না আসার অনুরোধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: খেলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক৷ একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে না আসার অনুরোধ জানান তিনি।

সোমবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী একথা জানান। এসময় স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুল চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, আমরা জানুযারি মাস থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিমানবন্দরে নতুন দু’টি স্ক্যানারসহ মোট ছয়টি স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতেও স্ক্যানার বসানো হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে আগামী দু’দিনের মধ্যে সারা দেশে পোস্টার-ব্যানার পৌঁছে যাবে।  

‘ঢাকায় ৪শ থেকে ৫শ বেডের একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় ১শ বেডের হাসপাতাল প্রস্তুত করার আগের নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে কোরিয়া, ইতালি, চীনসহ চারটি দেশের অনঅ্যারাইভাল ভিসা।

তিনি বলেন, আমাদের আশঙ্কা ছিল দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব হতে পারে বা রোগী পাওয়া যেতে পারে। গতকাল আমরা তিনজন করোনা রোগীকে শনাক্ত করেছি। এ নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সকালে ও রাতে বৈঠক হয়েছে। তাকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আমরা তিনটি কমিটি করেছি। একটি জাতীয় কমিটি, অন্যটি জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটি। এছাড়া ইতালি ও কোরিয়া থেকে যারা দেশে আসবে তাদের সেখানকার বিশেষ কর্নারের মাধ্যমে আসতে হবে।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলা, ধর্মীয় ও যে কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করতে হবে। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটা জিনিস হয়, সেটা হলো কোনো জিনিসের ডিমান্ড থাকলে তার দাম বেড়ে যায়। যেমন আমাদের মাস্কসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম কিছুটা বেড়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো দামটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।  

‘বিদেশ থেকে যে সব বাঙালি আসছে তারাই এ ভাইরাস বহন করে আনবে। তাদের আমরা সব সময় বলে আসছি এই মুহূর্তে আপনারা দেশে আসবেন না। আপনারা নিজ নিজ স্থানে থাকবেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি বিভিন্ন দেশে প্রচার-প্রচারণা চালাতে যাতে প্রবাসীরা দেশে না আসেন। যারা দেশে আসবেন তারা সেলফ কোয়ারেনটাইনে থাকবেন। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।