ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

কিডনিতে পাথর হলে বুঝবেন যেভাবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
কিডনিতে পাথর হলে বুঝবেন যেভাবে

মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। কিন্তু সমস্যা হলো এটা যতদিন সুস্থ সচল থাকে মানুষ ততদিন এর কথা ভুলে থাকে। সমস্যা সৃষ্টি হলেই ছুটতে থাকে ডাক্তারের কাছে।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন, কিডনির কথা ভূলে থাকলে চলবে না একেবারেই। এর যত্ন নিতে হবে।

   আর কিডনি ভাল রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ। আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে।

কিডনি যেসব কারণে অসুস্থ হয়ে যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো পাথর হওয়া। আমাদের দেশে প্রতিদিনই শত শত মানুষ পিত্তথলি অপারেশনের জন্য ডাক্তারের কাছে টাকা ঢালছেন।  

কিডনিতে পাথর হলেও দীর্ঘদিন এর কোনো উপসর্গ দেখা যায় না বা ব্যথাও করে না।  

চলুন আগে আমরা জেনে নিই কিডনিতে পাথর কেন জমে।  

কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন- 
১. কম পানি পান।  
২. কিডনিতে ইনফেকশন হলেও যথাযথ চিকিত্‍সার ব্যবস্থা না করা।
৩. অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
৪. শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।

কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
১. রক্তবর্ণের প্রস্রাব।
২. বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
৩. কোমরের পিছন দিকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিকিত্‍সা:
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিত্সকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  

সতর্কতা:
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কখনও প্রস্রাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রস্রাবের বেগ এলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে তা সেরে ফেলার।  
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল। বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।