ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই জানা যাবে বংশগত রোগের ইতিহাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২০
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই জানা যাবে বংশগত রোগের ইতিহাস

ঢাকা: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ ল্যাবরেটরী মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের (এনআইএলএমআরসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেছেন, মাতৃগর্ভ থেকে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্যাথলজি টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় শিশুটি বংশগত কী কী রোগ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। আমরাও এ কাজটি এখন করতে পারি।

রোববার (১ মার্চ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ ল্যাবরেটরী মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের আয়োজিত ‘ল্যাবরেটরী মেডিসিন ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের বংশগত রোগ বয়স বাড়ার সঙ্গে মানবদেহে হানা দেয়।

শিশুকাল থেকে প্যাথলজি টেস্টের মাধ্যমে এই সকল রোগের চিকিৎসা নিলে পরবর্তীতে রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তিনি বলেন, এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন রোগের রেফারেন্স ভ্যালু অনুসরণ করা হয়। বাংলাদেশের ভৌগলিক প্রেক্ষাপটে এন্টি রেজিস্ট্যান্সের কারণে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের রেফারেন্স ভ্যালু সঠিক কিনা তা গবেষণার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ণয় করা হবে বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ ল্যাবরেটরী মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে তৈরি হয়েছে বিশ্বমানের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০১৮ সালের জুন মাসে ১২ তলা বিশিষ্ট এই প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ হলে ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধনের পরও আধুনিকায়নের কাজ এখনো চলছে।

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে প্যাথলজি টেস্টের মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে শুরু করে যে কোন জটিল রোগ প্যাথলজি টেস্টে বিশ্বমানের নির্ণয় করা যাবে। পাশাপাশি দেশের সরকারি বেসরকারি রোগ নির্ণয় সেন্টারের মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের সরকারি-বেসরকারি রোগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র মান পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন সেন্টারে যারা কর্মরত থাকেন, তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হবে। এই প্রতিষ্ঠান সদস্যরা ভবিষ্যতে কেউ যেন কোনো রোগ নির্ণয় সেন্টারে চাকরি করতে না পারে, সেজন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। দেশি, বিদেশী, পাবলিক, প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধিতে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

উক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বিসহ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ ল্যাবরেটরী মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের ল্যাব মেডিসিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
পিএস/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।