ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

পঞ্চগড়: দিন দিন হিমালয় থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে শীত ও শৈত্য প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোগ বালাই। এতে করে সব থেকে বেশি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা। 

পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ দিনে বহির্বিভাগ থেকে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গেছে নতুন-পুরাতন মিলে ১৪৯৮ জন নারী-শিশু ও ১৩২৫ জন পুরুষ রোগী।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু বিভাগ প্রায় রোগীশূন্য পড়ে রয়েছে।

তবে যে কয়েটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সিরাজদৌল্লা পলিন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজন নারী ও চারজন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এবং শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. নিজাম উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, এই সময়ে শীতজনিত রোগে সব থেকে বেশি ভুগছে শিশুসহ বয়স্করা। তবে তাদের সঠিক ভাবে দেখাশোনা করলে শীতজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এদিকে, গত চারদিন ধরে এই জনপদের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহের কারণে দুর্ভোগে পড়ছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ। দিনের বেলা কুয়াশার পরিমাণে কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো দমে নামছে কুয়াশা সঙ্গে বৃষ্টির মতো শীত।  

আবহাওয়া অফিস জানায়, হিমালয়ের একদম কাছেই পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত হওয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই দিন বিকেলে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয় ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।