ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

‘২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করা হবে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
‘২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করা হবে’ বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে সরকার বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন। এ জন্য সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামাক উৎপাদনে কোনো ব্যাংক ঋণ দেওয়া হবে না। তামাক চাষে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

আশা করি আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিষ-বাতাস শিরোনামে ধুমপান বিরোধী মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সবিচালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খানও বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন ধূমপানের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে বলেন, তামাক মুক্ত ও ধূমপান নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য ৯শ’ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাজেট বাড়ায় সরকার ধূমপান নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবে। দেশে ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ধূমপান করে। এর মধ্যে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা দেড় শতাংশ। তামাকজনিত কারণে বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন করে বছরে ৭০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। তামাকজনিত রোগে মুত্যুর সংখ্যা এইডস, ম্যালেরিয়া, যক্ষার চেয়েও বেশী।

বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগের কারণে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকালপঙ্গুত্বের শিকার হন। প্রতি বছর প্রায় এক লাখ মানুষ তামাকজনিত কারণে মারা যান। তামাক থেকে বছরে সরকারের দুই/আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। কিন্তু তামাকজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য এর প্রায় দ্বিগুণ খরচ হয়।

তিনি বলেন, শুধু তামাকই নয়, বিভিন্ন ধরনের মাদকের সমস্যাও রয়েছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসে। রোহিঙ্গারা আসছে, তাদের মাধ্যমেও ইয়াবা আসছে বলে শোনা যায়। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাবো- এদের মাধ্যমে যাতে ইয়াবা আসতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসকে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।