ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অধ্যক্ষের অভাবে শুরু হলো না হবিগঞ্জ মেডিকেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
অধ্যক্ষের অভাবে শুরু হলো না হবিগঞ্জ মেডিকেল চিকিৎসা সরঞ্জামাদি

ঢাকা: সরকারি অনুমোদন ও শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেওয়া হলেও চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করতে পারেনি হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ। এছাড়াও কলেজটিতে শিক্ষক নেই বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র। 

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই সরকার থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ১ম বর্ষে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়।

কিন্তু অধ্যক্ষ নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

রোববার (০৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য সচিবকে নিজের নিয়োগের কথাটি জানান কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবু সুফিয়ান।  

হবিগঞ্জ জেলার নবনির্মিত ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনের ৫ম তলা ও ৬ষ্ঠ তলায় ২৪ হাজার বর্গফুট জায়গায় হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার পুরাতন হাসপাতাল ভবন অস্থায়ী ক্যাম্পাস সহ ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে বলেও মন্ত্রণালয়কে অবগত করেন।  

তবে, এই বছরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে না পারলেও আগামী ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্যে বিষয়ভিত্তিক ১০ জন বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ২নং রিচি ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সামাদনগর এলাকায় এই মেডিকেল কলেজ স্থাপনের স্থান নির্ধারণ ক

সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে।  

সিনিয়র সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে অনুমোদনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং হবিগঞ্জ জেলার সব প্রশাসনিক কাঠামোকে অবগত করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হলেও আর কাজ এগোয়নি।  

২৫০ শয্যার হবিগঞ্জ হাসপাতালে অধ্যক্ষ বা শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদনের বিষয়টি অসামঞ্জস্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।  

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা) ডা. আব্দুর রশিদকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭ 
এমএন/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।