ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সিজার করাকে অনেকেই ফ্যাশন মনে করেন, বললেন নাসিম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
সিজার করাকে অনেকেই ফ্যাশন মনে করেন, বললেন নাসিম ছবি: মিথুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘সিজার করা’ অনেকেই এখন ফ্যাশন মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, সিজার করে বাচ্চা জন্মদানকে অনেকেই ফ্যাশন মনে করেন।

কিন্তু এটি অনেক ঝুঁকির। কেননা, একবার সিজারর করলে বারবার তা করতে হয়।

বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘ন্যাশনাল মিটিং স্ট্রেনদিং ইউনিয়ন লেবেল ফেসিলেটিস টু ইমপ্রুভ ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি’ শীর্ষক সভাটির আয়োজন করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর।

নাসিম বলেন, আমাদের যে ডেলিভারি সেন্টারগুলো আছে, তার বেশির ভাগেরই দৈন্যদশা। কোথাও কোথাও আবর্জনায় ভরা। এগুলোকে উন্নত করতে হবে। সেবার মানও বাড়াতে হবে। এতে গ্রামীণ নারীরাই নন, শহুরেদের অনেকেই এসব সেন্টারে সেবা নিতে আসবেন।

তিনি বলেন, সিজার করে বাচ্চা জন্মদানকে অনেকেই ফ্যাশন মনে করেন। কিন্তু এটি অনেক ঝুঁকির। কেননা, একবার সিজার করলে বারবার সিজার করতে হয়। তাই এটি করা যাবে না।

সিজারে চিকিৎসকদের প্ররোচনা থাকে মত দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আবার ডেলিভারি সেন্টারের সেবার মান ভালো না হওয়ায় অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে যায়। আর চিকিসকরাও সেখানে গেলেই বলেন সিজার করতে হবে। এই হচ্ছে অবস্থা! কাজেই সেবার মান বাড়ালে সিজারের হার কমে যাবে।

নাসিম বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে সমন্বয় বাড়বে।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গেও ভালো আচরণের প্রতি জোর দেন তিনি।

‘স্বাস্থ্য বা ডেলিভারি সেন্টারের ধাত্রীদের ব্রেইন ওয়াশ করে ফেলতে হবে। আর তা সম্ভব ভালো আচরণের মাধ্যমেই,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি এ সময় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। অবস্থার আরও উন্নতি হবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডাইরেক্টর ডা. ইশতিয়াক মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
ইইউডি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।