ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশ মেডিকেল

১৫ দিন ধরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৬
১৫ দিন ধরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের স্বনামধন্য বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা গত ১৫ দিন ধরে ধর্মঘট করায় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং অনিয়ম নিরসনের দাবিতে গত  ১৬ মে থেকে এ ধর্মঘট পালন করছেন তারা।

 

হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা ছাড়াও ডেন্টাল কলেজের ক্লাসও বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুল কাদের ধর্মঘটের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।

তিনি জানান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং অনিয়ম নিরসনের দাবিতে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার (০১ জুন) সরেজমিনে হাসপাতাল প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, শুধুমাত্র আইসিইউ, সিসিইউ, কেমোথেরাপি চালু রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ছাড়া অন্য রোগীরা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
 
হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, কেবিন, সেমি কেবিন, ওয়ার্ড মিলিয়ে এখানে শয্যা সংখ্যা ৫০০। তবে বুধবার সকালের হিসেবে এখানে ভর্তি রোগী রয়েছেন মাত্র ৫৯ জন।
 
হাসপাতালের বহির্বিভাগ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ শাখা।
 
ফজলুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, এখানে চিকিৎসক ও প্রশাসনে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, অসন্তুষ্টি, মূল্যায়নের অভাব, বেতন ও মজুরির সংকটের কারণে আজকের এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
 
তিনি জানান, ১৬ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত বহির্বিভাগের কিছু অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। ২২ মে থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে সেবা কার্যক্রম।
 
তিনি বলেন, ‌‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্য দূর করা ছাড়াও হাসপাতালটিকে নিজস্ব জমিতে নেওয়া এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কলেজের ট্রাস্টি আমাদের কথার কর্ণপাত করেননি। বরং বিভিন্নভাবে আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়ে আসছেন’।
 
২০১২ সালে চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর থেকে হাসপাতালের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া কোনো এজিএম ও অডিট হয় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
 
তবে আন্দোলনের পর বেতন-ভাতার কিছু দাবি এরই মধ্যে মেনে নিয়েছেন ট্রাস্টি। এরপর থেকে কর্মচারীরা আর অন্দোলনে নেই বলেও জানা গেছে।
 
তবে অধ্যাপক কাদের বলেছেন, শুধু বেতন নয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির আগের ঐতিহ্য এবং উন্নতমানের করার জন্যেই তাদের এ আন্দোলন।

হাসপাতালের অধ্যক্ষ তাইমোর নাওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ট্রাস্টি বোর্ডের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই অামরা আমাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো'।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন০১, ২০১৬
এমএন/আরআইএস/এএসআর

** অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad