ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

অচেনা স্থানে ঘুম না হওয়ার জন্য দায়ী মস্তিষ্ক

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৬
অচেনা স্থানে ঘুম না হওয়ার জন্য দায়ী মস্তিষ্ক

ঢাকা: কেউ কেউ যেখানেই রাত সেখানেই কাত হয়ে পড়েন। আবার বাড়ির বাইরে রাত কাটানো অনেকের কাছেই অস্বস্তিকর।

বিশেষ করে রাতে ঘুমের ব্যাপারটা। নিজের ঘর, নিজের বিছানা আর নিজের বালিশ ছাড়া অনেকে ঘুমাতে পারেন না। তাই জীবনে প্রথম আবাসিক হোটেল বা অপরিচিত স্থানে ঘুমহীন রাত্রি যাপনের কারণ হিসেবে সব দায় পড়ে টানটান ম্যাট্রেস আর শক্ত বালিশের ওপর। তবে বিজ্ঞানীরা উদ্ধার করেছেন এর আসল কারণ।

 


তারা জানান, যখন কোনো ব্যক্তি অপরিচিত স্থানে প্রথম ঘুমান তখন মস্তিষ্কের একটি অংশ সজাগ থাকে। ওই অংশটি ব্যক্তিকে তার পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে সজাগ করতে থাকে। মস্তিষ্কের বামপাশ এসময় রাতের ঘড়ি হিসেবে কাজ করে।

বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, তিমি ও ডলফিন ঘুমানোর সময় এদের মস্তিষ্কের একটি অংশ সজাগ থাকে ও অন্য একটি অংশ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। ইউনিহেমিসফেরিক স্লিপ নামক এই ঘুম সর্বপ্রথম দেখা যায় মানুষের মধ্যে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষের মস্তিষ্কের অবস্থা বোঝার জন্য ৩৫ জন সুস্থ নারী-পুরুষের সংবেদনশীল ব্রেইন স্ক্যান করেছেন। এ পরীক্ষায় দু’টো স্ক্যান করা হয়। প্রথমটি করা হয় অপরিচিত স্থানে রাত কাটানোর প্রথমদিন ও দ্বিতীয়টি করা হয় ওই একই স্থানে এক সপ্তাহ থাকার পর।

ফলাফলে দেখা যায়, প্রথমদিন ঘুমের সময় মস্তিষ্কের বাম অংশ জেগে ছিলো। যেহেতু মস্তিষ্কের বাম অংশ শরীরের ডান অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে তাই ঘুমের সময় যেকোনো শব্দ সেচ্ছাসেবীদের বাম কানের চেয়ে ডান কানকে বেশি উদ্দীপ্ত করেছে।

জার্নাল কারেন্ট বায়োলজিতে গবেষকরা বলেছেন, অপরিচিত পরিবেশে প্রথম ঘুমের সময় মস্তিষ্কের একটি অংশ অন্য অংশের চেয়ে বেশি সতর্ক থাকে। যা বাইরের অপরিচিত শব্দ শনাক্ত করে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে সংকেত দেয়। তবে এক্ষেত্রে অ্যালার্ট দেওয়ার কাজটি কেন মস্তিষ্কের বামপাশই করে তা জানা যায়নি।

গবেষণায় আরেকটি ব্যাপারও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অনেকে নিজের বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। তাই দূরে ভ্রমণের সময় নিজের বালিশও বগলদাবা করে নিয়ে যান।

কিন্তু গবেষক ইউকা সাসাকি জানান, অপরিচিত স্থানে নিজের বালিশও সহজ ঘুমে সহায়ক হবে না। কারণ, এতে নিজের মস্তিষ্ককে চেনা পরিবেশে রয়েছেন বলে বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করলেও আপনি যে অপরিচিত পরিবেশে অবস্থান করছেন তা মস্তিষ্কের ঠিকই জানা রয়েছে।  

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।