ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ভেক্টর বাহিত রোগ প্রতিরোধে ‘ঢাকা ঘোষণা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৪
ভেক্টর বাহিত রোগ প্রতিরোধে ‘ঢাকা ঘোষণা’ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীগণ ভেক্টর-বাহিত রোগ নিয়ে ঢাকা ঘোষণার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্য খাতের অগ্রতি পর্যালোচনা, চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নির্ধারণের জন্য এ অঞ্চলের ১১ সদস্য রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীগণ এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।



ঢাকা ঘোষণায় এ অঞ্চলে ভেক্টর-বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে। এ অঞ্চলের প্রায় ১৪০ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, ৮৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ লিম্ফ্যাটিক ফাইলারিয়াসি-এর সম্মুখীন এবং ১৪ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ কালাজ্বরে ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্বের ৫২ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বাস করে।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩২তম সভা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটির ৬৭তম সভার উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের সার্বিক সুখ নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক। একটি সুস্থ জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। এজন্য আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিকল্পিত পরিবার নিশ্চিত করতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। ’

তিনি বলেন, ‘জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তর এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের পূর্বশর্ত হিসেবে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত করতে আসুন আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরেকবার নতুন করে তুলে ধরি। ’

অটিজম নিয়ে সারা বিশ্বকে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশের যে প্রচেষ্টা তাকে এগিয়ে নিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে উপস্থিত স্বাস্থ্য প্রতিনিধিবৃন্দের প্রতি ব্যক্তিগত অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘অটিজম-এ আক্রান্তসহ ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নতমানের রোগনির্ণয় ও সেবার পাওয়ার সুব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিৎ। ’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান বলেন, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং গড় আয়ুবৃদ্ধিতে দেশটি যে অসাধারণ অগ্রতি সাধন করেছে তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ’

তিনি বলেন যে, ‘স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের এ সাফল্য থেকে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের অনেককিছুই গ্রহণ করার আছে। ’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন যে, ‘একুশ শতকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে হতে হবে একুশ শতকের মতোই গতিশীল। এ অঞ্চলের দেশগুলো যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তার কারিগরী সমাধানই একমাত্র উপায় নয়। ’

** ভারতের সঙ্গে সনাতন ওষুধের লেনদেন হবে
** কালাজ্বর নির্মূলে ৫ দেশের সমঝোতা স্মারক

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।