ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

টমেটোর যতো অজানা

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৪
টমেটোর যতো অজানা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: টমেটোর গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। পাকা-কাঁচা উভয় প্রকার টমেটোই উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ।

কথিত আছে, রোদ-গরম গাছ থেকে তুলে আনা একটি পাকা টমেটোর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। ‌আমাদের হৃদস্পন্দন বৃদ্ধিতে যেসব খাবার বেশি প্রয়োজনীয় তার মধ্যে টমেটো অন্যতম।

টমেটোর মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সালাদ-পাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে টমেটো খাই। কিন্তু বেশিরভাগই লোকই টমেটোকে শুধুমাত্র একটি ফল হিসেবেই জানেন। এর আরও যে নানা পরিচয় আছে তা হয়তো অনেকরই অজানা। টমেটোর অজানা ১১টি বিষয় নিয়ে হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে আজকের আয়োজন।

লোকজন টমেটোকে বিষাক্ত বলে জানত:
১৭০০ সালের দিকে কিছু ইউরোপিয়ান টমেটোকে ভয় পেত। কারণ তখন বহু অভিজাত শ্রেণীর লোকজন টমেটো খেয়ে অসুস্থ, এমনকি মারাও গিয়েছিলেন। এজন্য ফলটির ছদ্মনাম হয়ে গিয়েছিল ‘বিষাক্ত আপেল’।   তবে দোষটা বেচারা টমেটোর ছিল না। কারণ, তখন পেওটার প্লেটে করে টমেটো পরিবেশন করা হতো। টমেটোর উচ্চ এসিডিটির সঙ্গে প্লেটের একপ্রকার বিক্রিয়া হয়ে বিষাক্ত হয়ে উঠত।

চীন বিশ্বের সর্বোচ্চ টমেটো উৎপাদনকারী:
অনেকে এ তথ্যটি জানেই না। চীন শুধু প্রযুক্তিতে শীর্ষে নয়, টমেটো উৎপাদনেও শীর্ষে। চীনের পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।

উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া শীর্ষে:
সমস্ত যুক্তরাষ্ট্রে যত টমেটো উৎপাদন হয় তার প্রায় পুরোটাই ক্যালিফোর্নিয়া থেকে। দেশটির ৯৬ শতাংম প্রক্রিয়াজাত টমেটো এই রাজ্য থেকে আসে। ক্যালিফোর্নিয়ার পরে রয়েছে ফ্লোরিডার অবস্থান।

প্রতিবছর মার্কিনিরা ২৩ পাউন্ড টমেটো খায়:
এই ২৩ পাউন্ডের প্রায় অর্ধেক তারা সস ও ক্যাচাপ আকারে খেয়ে থাকে।

‘ওলফ পিচ’ বলতে পারেন:
টমেটোর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে লাইকোপারসিকন লাইকোপারসিয়াম। এ অর্থই হচ্ছে ‘ওলফ পিচ’।

ফ্রিজে টমেটো মানায় না:
 
ফ্রিজের শীতলতা টমেটো পাকতে দেয় না। অথচ পাকা টমেটোর ফ্লেভারেই আলাদ। তাছাড়া ফ্রিজের ঠান্ডা টমেটোর ভেতরে ঝিল্লি ভেঙে একে সাদাটে করে ফেলে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে টমেটো ফ্রিজের বাইরে রাখা।

ত্বকের যত্নে টমেটো:
টমেটোতে যে এসিড থাকে তা ত্বকের দাগ দূর করে উজ্জ্বল করে তোলে। টমেটোর পাল্প আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে।  

টমেটোর উৎপত্তি আন্দিজ থেকে:
অনেকেই মনে করেন টমেটো ইতালিজাত। আসল তথ্যটি হচ্ছে, ৭০০ খ্রিস্টাব্দে টমেটো আজটেক ও ইনকার জাতির লোকই প্রথম চাষাবাদ করে।

আগের টমেটো লাল ছিল না:
প্রথমদিককার টমেটো আকারে ছোট, রঙে হলুদ ছিল। টমেটো নামটিও ইতালিয়ানদের দেওয়া। পরে ইউরোপে এলে এর নাম হয় পমি ডি’অর বা হলুদ আপেল।

বিশ্বে ১০ হাজারের বেশি জাতের টমেটো রয়েছে:
বিশ্বে এতো, এতো জাতের টমেটো রয়েছে যে গুণে শেষ করা যাবে না। অঞ্চলভেদে নানা নামের, রঙের, ঢঙের, আকারের টমেটোর আর শেষ নেই। কিছু মজার নাম না বললেই না- বেবি কেক, বানানা লেগ, ক্রিম সস, গ্রেমলিন ইত্যাদি।

সবজিও বলা যায়:
বোটানিক্যাল টমেটো ফল। কিন্তু ১৯৮৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের আদালতের রায় অনুযায়ী একে সবজিও বলা যায়। আমজনতার মুখের ভাষা অনুযায়ীও টমেটোকে ফল বলা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।