ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরার উদ্যোগে বরুড়ায় নিখরচায় চক্ষু চিকিৎসা পেলেন ১৮০০ রোগী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
বসুন্ধরার উদ্যোগে বরুড়ায় নিখরচায় চক্ষু চিকিৎসা পেলেন ১৮০০ রোগী

কুমিল্লা: কুমিল্লার বরুড়ার আমড়াতলি চেরাগ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে নিখরচায় চোখের চিকিৎসা পেয়েছেন এক হাজার ৮০০ মানুষ।  

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।

শেষ হবে বিকেল ৫টায়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

এদিন সকালে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা সুশৃঙ্খলভাবে সেবাপ্রত্যাশীদের নির্দিষ্ট বুথে পৌঁছে দিচ্ছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে করা হচ্ছে মাইকিং। মোট ১৩টি বুথে আই ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সেবা নিতে রোগীতের দীর্ঘ লাইন

জানা গেছে, বরুড়ার তিন ইউনিয়ন- শিলমুড়ী উত্তর, শিলমুড়ী দক্ষিণ ও ভবানীপুরের রোগীদের এদিন সেবা দেওয়া হয়েছে।  

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ভবানীপুরের মর্জিনা আক্তার জানান, চোখ থেকে পানি পড়ে, চুলকায়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। আজকে স্যারেরা বিনা টাকায় ওষুধ দিয়েছেন।

আমড়াতলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস জানান, কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখি না। ডাক্তাররা চোখ দেখে ওষুধ ও চশমা দিয়েছেন। আমরা আয়োজকদের জন্য দোয়া করি।

শিলমুড়ী গ্রামের রাহেলা বেগম জানান, চোখে ছানি পড়ছে। ডাক্তাররা বলছেন, ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করাবে।

অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী মোয়াজ্জেম হোসেন কল্লোল জানান, বরুড়ায় এটি চতুর্থ ধাপের আই ক্যাম্প। এর আগে ঝলম, পয়ালগাছা ও হরিপুর ইউনিয়নে ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে ছয় হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। বিনামূল্যে অপারেশন করা হয় এক হাজার ১০০ জনকে।

আবু তাহের ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন জানান, বরুড়ায় আরো দুইটি ক্যাম্প করা হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে তিনটি ইউনিয়নকে যুক্ত করা হয়। আমাদের আর তিনটি ইউনিয়ন ও বরুড়া পৌরসভা বাকি আছে। ওই তিন ইউনিয়নে একদিন এবং পৌরসভায় একদিন ক্যাম্প করার ইচ্ছা আমাদের আছে।

তিনি জানান, বসুন্ধরা গ্রুপকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন একটি চমৎকার আয়োজনে তারা আমাদের সময় দিচ্ছেন। ডাক্তাররাও ভীষণ ব্যস্ত মানুষ। ঢাকায় অন্যান্য রোগীদের সেবা নিয়ে তারা সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকেন। এরপরও তারা আমাদের ডাকে বারবার সাড়া দিচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

আই ক্যাম্পের প্রধান অধ্যাপক ডা. সালেহ আহমেদ জানান, দেশের অনেক জায়গায় আমরা ক্যাম্প করেছি। তবে বরুড়ায় বেশি সাড়া পেয়েছি। চিকিৎসা নিয়ে এ এলাকার মানুষের আগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে কেউ ডাক দিলে আমরা সেখানে আই ক্যাম্প করে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।