ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

শীতের সঙ্গে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে ভোলায়

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
শীতের সঙ্গে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে ভোলায়

ভোলা: শীতের প্রভাবে ভোলায় বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু ও ডায়রিয়া রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫ জন।

যার প্রভাব পড়েছে ভোলা সদর হাসপাতালে। আক্রান্তদের চাপে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ২৪ ঘণ্টায় ৪২ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে বিভিন্ন বয়সের ৮৯ জন এবং ডেঙ্গুতে  আরও ৪ জন।

এদিকে হাসপাতালে রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, নিউমোনিয়া আক্রান্ত অর্ধশতাধিক, ডায়রিয়ায় ২৫ ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন চিকিৎসাধীন আছে।

গত এক সপ্তাহে জেলায় নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ছিল ২৬১ জন, ডায়রিয়ায় ৪৪১ জন ও ডেঙ্গুতে ২৩ জন। এসব রোগে মৃত্যু না থাকলেও দিনদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ইমা আক্তার বলেন, এ ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ২৫ টি। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৯২ জন। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে বেশিরভাগ রোগী মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত এক মাস ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে। এ চাপ কিছুতেই যেন কমছে না। এক মাসে জেলায় সর্বমোট নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। ১১ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৮৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।

অন্যদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২২০ জন এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯৫৯ জন। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এটি সর্বোচ্চ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

ভোলার সিভিল সির্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ায় রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তবে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে।

এদিকে ভোলায় দিন দিন কমছে তাপমাত্রা। গত দুইদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ও ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা এতে জেলায় বেড়েছে শীত। আগামী এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।