ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

ফুটবল

মেসিকে বেচে দেওয়া উচিত ছিল বার্সার: তুসকেতস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
মেসিকে বেচে দেওয়া উচিত ছিল বার্সার: তুসকেতস

বার্সার ম্যানেজমেন্ট কমিটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট কার্লেস জানান, তিনি যদি দায়িত্বে থাকতেন তাহলে গত গ্রীষ্মেই মেসিকে বেচে দিতেন।

গত ট্রান্সফার উইন্ডোতে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ক্লাবের কাছে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

কিন্তু সেসময় চুক্তির শর্তের যুক্তিই দেখিয়ে তাকে যেতে দেননি তৎকালীন বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউ। কিন্তু বার্তোমেউর এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি তুসকেতসের। তার মতে, মেসিকে তখনই ছেড়ে দিলে ভালো হতো।

তিনি বলেন, 'আর্থিকভাবে চিন্তা করলে, গত গ্রীষ্মেই আমি মেসিকে বেচে দিতাম। এটাই হতো কাঙ্ক্ষিত। কারণ এতে তারা (ক্লাব) অনেক অর্থ বাঁচাতে পারতো। '

নেইমারের বার্সেলোনায় ফেরার একটাই রাস্তা খোলা। আর তা হলো বিনা ট্রান্সফার ফি'তে। পিএসজি ফরোয়ার্ডের পেছনে খরচ করার মতো অর্থ এই মুহূর্তে বার্সার একাউন্টে নেই। এমনটাই জানালেন তুসকেতস।

এই মুহূর্তে আর্থিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে বার্সা। করোনা মহামারির কারণে কাতালান জায়ান্টদের এই দুর্গতি। এমনকি খেলোয়াড়দের বেতনও ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছে না ক্লাবটি। এমতাবস্থায় নেইমারের মতো দামি খেলোয়াড় কেনা তাদের পক্ষে অসম্ভব। উল্টো আর্থিক দুর্দশা কাটাতে মেসিদের বেতনের একটা বড় অংশ কেটে রাখা হচ্ছে। তাই 'আরএসি ওয়ান'কে তুসকেতস বলেন, 'সে (নেইমার) যদি ফ্রিতে আসতে পারে, তাহলে হয়তো হতে পারে। '

২০১৭ সালে ট্রান্সফার ফি'র বিশ্বরেকর্ড (২২২ মিলিয়ন ইউরো) গড়ে পিএসজিতে নাম লেখান নেইমার। এরপর থেকে তার ক্যাম্প ন্যুয়ে ফিরে আসা নিয়ে অসংখ্য গুঞ্জন শোনা গেলেও তা বাস্তবের মুখ দেখেনি। তবে তুসকেতসের মতে তার ফিরে আসার আরও একটি পথ আছে। তবে তা একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। তার মতে, 'যদি পরবর্তী প্রেসিডেন্টের হাতে যদি জাদুকরী ক্ষমতা থাকে, কিংবা খেলোয়াড় বেচে সব অর্থ দিয়ে নেইমারকে কেনা সম্ভব। '

তুসকেতস আরও জানান, আর্থিক দুর্গতির প্রভাবে খেলোয়াড়দের বেতন নিয়মিত দেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। তিনি বলেন, 'আমরা এমন এক পরিস্থিতে আছি যে আগামী জানুয়ারিতে হয়তো খেলোয়াড়দের বেতনও দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হয়তো সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আমরা তো অস্থায়ী কমিটি, তাই অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। '

বার্সার আর্থিক অবস্থা এতটাই দুর্বল যে, ক্লাবের অন্যান্য অবকাঠামোগুলো মেরামতের অর্থও তহবিলে নেই। তুসকেতস বলেন, 'ইয়ুহান ক্রুইফ স্টেডিয়াম আদতে ভেঙে পড়ছে। এটার মেরামত করা দরকার। স্টেডিয়ামের সিলিংয়ের টুকরো ভেঙে পড়ছে। '

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।