ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

গল্প

বড়গল্প/পর্ব-১

কুঁড়ি থেকে ফুল | যুথিকা বড়ুয়া (পর্ব-১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
কুঁড়ি থেকে ফুল | যুথিকা বড়ুয়া (পর্ব-১)

বিকেল অবধি পরিষ্কার নীল আকাশ। মনেই হয়নি আজ বৃষ্টি হবে। হঠাৎ কোথা থেকে এক টুকরো কালো মেঘ ধেয়ে এসে মুহূর্তে ছেয়ে যায় গোটা আকাশ। গুড়ুম গুড়ুম মেঘের গর্জন।

এক.
বিকেল অবধি পরিষ্কার নীল আকাশ। মনেই হয়নি আজ বৃষ্টি হবে।

হঠাৎ কোথা থেকে এক টুকরো কালো মেঘ ধেয়ে এসে মুহূর্তে ছেয়ে যায় গোটা আকাশ। গুড়ুম গুড়ুম মেঘের গর্জন। বিদ্যুতের বাঁকা ঝিলিক। বিশাল গর্জন করে মেঘলাকাশের বুক চিরে ক্ষণে ক্ষণে উদ্ভাসিত হতে থাকে একফালি আলোর রেখা। এরপর শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। সেই সঙ্গে উঠলো ঝড়। সে একেবারে প্রলয়ঙ্করী বেগে রাজ্যের ধূলোবালি উড়িয়ে, গাছের ডালপালা ভেঙে-মুচড়ে ছুটে চলে দিগ্বিদিকে। জানালার কপাটগুলি খট্ খট্ শব্দে গরাদের গায়ে ধাক্কা দিতে লাগলো। বন্ধ করে দেবে, সে উপায় নেই। ছিটকে এসে পড়ছে বৃষ্টির জল। থামবার লক্ষণ নেই একটুও। -‘ধুত্তরি! আজকের সন্ধ্যেটাই মাটি হয়ে যাবে দেখছি! এতোক্ষণে রাস্তাঘাট নিশ্চয়ই জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে গিয়েছে!’ স্বগতোক্তি করে ওঠে মহুয়া।

ইতোপূর্বে ওদের বাড়ির পিছনের বিশাল আমগাছটা মড় মড় করে ভেঙে পড়ে রান্নাঘরের চালের উপর। আঁতকে ওঠে মহুয়া, ‘সর্বনাশ! কী সাংঘাতিক ঝড় রে বাবা! এ যে একেবারে উড়িয়ে নিয়ে যাবে মনে হচ্ছে’! 

কতো আশা নিয়ে বিকেল থেকে অপেক্ষা করে আছে হবু স্বামী জয়ন্ত আসবে। এলেই গোধূলির নিরিবিলিতে কপোত-কপোতি দু’জনে পাশাপাশি বসে মন বিনিময় করবে, রোমান্স করবে। আরো কতো কী! 
সন্ধ্যে সাতটা বাজে মাত্র। মনে হচ্ছে, গভীর নিশুতি রাত। জঙলি লতা-পাতার ঝাড়ে ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডাকছে। চলছে মরা কান্নার মতো বাতাসের একটানা গোঙানি। রীতিমতো কেমন ভৌতিকই দেখাচ্ছে।  

গা শিউরে ওঠে মহুয়ার। অপ্রত্যাশিত হঠাৎ প্রকৃতির অস্থিতিশীলতায় বিমূঢ় হয়ে পড়ে। নির্জন ঘরের কোণে বিরহের উদ্বিগ্নতা আরও দৃঢ়ভাবে অনুভব করে। চঞ্চল প্রাণবন্ত পদাচারণা ক্রমশ শিথিল হয়ে আসে। বিষন্নতায় ছেয়ে যায় দেহ-মন, সারা শরীর। ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে জানালার কপাটগুলি বন্ধ করে বসে পড়ে সোফায়।  
         
জয়ন্ত বরাবরই ভোজনবিলাসী। ক্ষীর-মিঠাই ওর খুব প্রিয়। খেতে ভীষণ ভালোবাসে। প্রথম প্রথম মহুয়াদের বাড়িতে যখন আসতো, সংকোচবোধে সরাসরি মুখে কিছু বলতো না। মিঠাই খাওয়ার লোভ-লালসায় জিভটা বের করে ঠোঁট চাটতো। চকচক করে শব্দ করতো। কিচেন রুমের দিকে উঁকি-ঝুকি মেরে নাক ফুলিয়ে লম্বা নিঃশ্বাস টেনে বলতো, ‘উম্, ইয়ামি! দারুণ গন্ধ বেরুচ্ছে! হালুয়া টালুয়া বানিয়েছ বুঝি’! 

আসলে গন্ধ-টন্ধ ওসব বাজে কথা। ক্ষীর-মিঠাই খাওয়ার লোভেই সন্ধানী চোখদু’টো ওর সারাক্ষণ কিচেরুমের দিকে হানা দিতো। কিন্তু এ ধরনের ছলা-কলা মহুয়া মোটেই পছন্দ করে না। প্রতিটি ব্যাপারেই ও একেবারে সিরিয়াস, স্পষ্টবাদী। একটুতেই চটে যায়। সামান্য ছোটখাটো ব্যাপারে তুলকালামকাণ্ড বাঁধিয়ে দেয়। একবার তো মুখ ফসকে জয়ন্তকে বলেই ফেলেছিল। আচ্ছা করে শুনিয়ে দিয়েছিল।
-‘সরাসরি বললেই তো পারো জয়! একটু না হয় কষ্টই করলাম। অযথা বাহানা করে কেন আমায় অপদস্থ করো বলো তো! ডোন্ট ডু ইট্, প্লিজ! আনকম্ফর্টেবল ফিল করি’।

সেদিনের পর থেকে জয়ন্তর আগমন বার্তা পেলেই দু-একপদ মিষ্টান্ন তৈরি করে রাখে মহুয়া। আজও গাজরের হালুয়া, ডালপুরি, কাজু বরফি সব বানিয়ে বিস্তৃত ডাইনিং টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে। ওদিকে আকাশের শোচনীয় অবস্থা, মনে হচ্ছে এক্ষুণিই ভেঙে পড়বে।  

ভাবতে ভাবতে মনের মধ্যে হঠাৎ নানারকম দুঃশ্চিন্তার উদয় হয় মহুয়ার। নিজের মনে বিড়বিড় করে ওঠে। এমন ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে জয়ন্তই-বা আসবে কেমন করে! এ অবস্থায় ড্রাইভ করাও বিপদ। কিন্তু আসতে পারছো না ভালো কথা, একটা ফোন তো করতে পারতো! আবার পরক্ষণেই ভাবে, হয়তো অফিসের কাজই এখনও শেষ হয়নি ওর! নইলে এতোক্ষণে নিশ্চয়ই ফোন করতো জয়ন্ত! 

বিড় বিড় করতে করতে টিভি অন্ করে বসে পড়ে সোফায়। বিষণ্ন চোখে চেয়ে থাকে। তাকিয়ে আছে ঠিকই কিন্তু ওর দৃষ্টি শূন্য। বৃষ্টি পড়ছে মুষলধারে। কানদু’টো সজাগ রাখার চেষ্টা করলেও অবিশ্রান্ত বৃষ্টির শব্দে বাইরের কিচ্ছু শোনা যাচ্ছে না। অস্থির হয়ে ওঠে মহুয়া। রাগ হয় গৃহপরিচারিকা মালতির উপর। সেই যে ষষ্ঠী পূজাতে দু’দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছে, আজ সাতদিন হয়ে গেলো, এখনও লাপাত্তা। অথচ ওর ভরসায় সংসারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে মহুয়ার পিতা হরিপ্রসাদ ব্যানার্জী সস্ত্রীক র্তীথ করতে বেরিয়েছেন কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন। ফিরবেন সপ্তাহ তিনেক পর। একলা নির্জন ঘরে মহুয়ার কীভাবে দিন কাটছে, রাত পোহাচ্ছে, একবারও কি ভেবে দেখেছে? ওর তো অজানা নয়, জানতে পারলে কর্তাবাবু কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দেবেন, সে ভয়ও কি ওর নেই! শ্মশানপুরীর মতো বিশাল দালান বাড়ি। জন-শূন্যতায় একেবারে খাঁ খাঁ করছে। টপ্ টপ্ করে পড়ছে বৃষ্টির ফোঁটা। গা ছম্ ছম্ করে উঠছে। এরূপ বিপর্যয়ে মালতি সঙ্গে থাকলে মহুয়াকে এমন ভীত-সন্ত্রস্ত্রে কাটাতে হতো না। ও’কি দুধের বাচ্চা, যে সারাক্ষণ ওকে আগলে বসে থাকতে হবে! -‘রাবিশ, যত্তসব আদিখ্যেতা!’

বকতে বকতে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় মহুয়া। দ্রুত রিসিভারটা তুলে জয়ন্তর মোবাইল নাম্বারে ডায়াল করে দ্যাখে, ওর মোবাইলটা অফ। বোঝা গেলো, জয়ন্ত এখনও অফিসে। তক্ষুণি অফিসে ট্রাই করতেই ভেসে আসে নারী কষ্ঠস্বর। -‘হ্যালো!’

          -‘হ্যালো, কে বলছেন?’

          -‘আমি শর্মিষ্ঠা বলছি! আপনি কে বলছেন?’

অপ্রত্যাশিত নারী কণ্ঠস্বরে মেজাজটা মুহূর্তে খাট্টা হয়ে গেলো মহুয়ার। গম্ভীর হয়ে বললো, ‘আপনি আমায় চিনবেন না। জয়ন্তকে একটু দিন’!

কণ্ঠে প্রচণ্ড আবেগ মহিলার। আহ্লাদে একেবারে গদগদ। উৎফুল্ল হয়ে বললো, ‘কে অন্তুদা? ওতো বেরিয়ে গিয়েছে অনেকক্ষণ’!

সর্বাঙ্গ জ্বলে উঠলো মহুয়ার। মনে মনে বিড় বিড় করে ওঠে, অন্তু? ও আবার অন্তু হলো কবে থেকে! হুম, যত্তসব আদিখ্যেতা! কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ উচ্চস্বরে বলে ওঠে, ‘অনেকক্ষণ মানে! জয়ন্ত কতোক্ষণ আগে বেরিয়েছে?’

-‘প্রায় ঘণ্টাখানেক হবে! কেন বলুন তো! খুব জরুরি তল্লাশি মনে হচ্ছে! এনি মেসেজ?’

ক্রোধে ফুলে ওঠে মহুয়া। গম্ভীর হয়ে বললো, ‘নো, থ্যাঙ্কস্! আপনাকে কষ্ট করতে হবে না’!

রিসিভারটা ধপ্ করে রেখে দাঁতকপাটি চিবিয়ে গজ্ গজ করতে থাকে। - ‘নারীর কথা বলার ছিরি দ্যাখো, যেনো ওর পিরীতির নাগর! আর জয়ন্তই বা কেমন, ওর কমনসেন্স নেই! অফিস থেকে বেরিয়েছে সেই তিনঘণ্টা আগে, একটা ফোন করার প্রয়োজন মনে করলো না! এতোই আর্জেন্ট! বিনা নোটিশে একেবারে উধাও! আর এখানে ওর জন্যে কেউ অপেক্ষা করে আছে, সেটাও কি ভুলে গিয়েছে ও!’

ভাটা পড়ে গেলো মহুয়ার আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। একরাশ মেঘ জমে ওঠে ওর হৃদয় আকাশে। সুরমা পড়া হরিণাক্ষি দু’টির কোণে চিক্ চিক্ করে জমে ওঠে অশ্রুকণা। তবু নিরাশ হয় না। ওর দৃঢ় বিশ্বাস, লেট হলেও জয়ন্ত  আসবেই! কতো সাধ করে জয়ন্তর দেওয়া ঢাকাই জামদানি শাড়ি পরে, রকমারি গহনায় সুসজ্জিত সাজে নিজেকে অপরূপা করে রেখেছিল, জয়ন্তকে বিমোহিত করবে, খুশী করবে। যেনো স্বর্গের দেবীই নেমে এসেছে মর্তে। শুধু প্রেম আরাধনার অপেক্ষা মাত্র।  

স্বগতোক্তি করে ওঠে মহুয়া, উফঃ, অসহ্য। মরার বৃষ্টিই আর থামে না। যেনো আকাশ ভাঙা বৃষ্টি। আকাশটা আজ ফুটো হয়ে গেল নাকি! 

বিড় বিড় করতে করতে ঘরের এমাথা-ওমাথা পায়চারি করে। ঘন ঘন ঘড়ি দ্যাখে। হঠাৎ আর্বিভাব হয়, অজানা আশঙ্কা। দুঃশ্চিন্তায় ঘিরে ধরে। নিশ্চয়ই কোনো বিপদ ঘটেছে জয়ন্তর। নইলে এতোক্ষণ ও যাবে কোথায়! 


ভাবতে ভাবতে নির্জন ঘরে একটানা নিস্তব্ধতায় মহুয়া গভীর তন্ময় হয়ে ডুবে যায় স্মৃতির সাগরে। আজ ওর ভীষণভাবে মনে পড়ছে, কলেজ ফাংশনে ‘শকুন্তলা’ নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শকের তালিকায় জয়ন্তর মন জয় করে ওর হৃদয়ের প্রবেশদ্বারে অনায়াসেই পৌঁছে গিয়েছিল। যেদিন ওর প্রথম আলাপ-পরিচয় হয়েছিল জয়ন্তর সঙ্গে। যার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কোনো ধারণাই মহুয়ার ছিলো না। জানা ছিলো না জয়ন্তর অতীত-বর্তমান, ওর স্বভাব-চরিত্র। সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা ছিলো মহুয়া। মাত্র কয়েকটি মুহূর্তের হাসি-কলতানের মাধ্যমে কখন যে দু’জনার বন্ধুত্ব ঘটে গিয়েছিল, ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। নৈকট্য লাভের আশায় কারণে-অকারণে প্রায় প্রতিদিনই মহুয়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। দেখা করতো, শহরের বিভিন্ন পার্কে, শপিং-মলে। কখনও সিনেমা কিংবা থিয়েটার হলে। এভাবেই বেড়ে যায় দু’জনার ঘনিষ্ঠতা, অন্তরঙ্গতা। বেড়ে যায় হৃদ্যতা। শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। যার অনিবার্য পরিণামে দু’টি সবুজ সুকোমল হৃদয়ে অচিরেই জন্ম নেয় চির সত্য ও পবিত্র শব্দ, ভালোবাসা। যা কখনও ভোলার নয়।


ইতোমধ্যে ঝন্ ঝন্ শব্দে বেজে ওঠে টেলিফোন। চমকে ওঠে মহুয়া। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দ্যাখে, রাত আটটা বাজে প্রায়। তখনও ঝুপ ঝুপ করে বৃষ্টি পড়ছে। -হে ভগবান, কোনো দুঃসংবাদ নয়তো! জয়ন্তর বিপদ ঘটেনিতো! ভয়ে আশঙ্কায় বুক কেঁপে ওঠে। থর থর করে হাত কাঁপে, ঠোঁট কাঁপে। রিসিভারটা তুলে ফ্যাস্ ফ্যাস্ শব্দে বলল, ‘হ্যালো!’

কিন্তু না, ওপাশ থেকে জয়ন্তর গলাই শোনা গেলো। ‘হ্যালো মৌ, জয়ন্ত বলছি অফিস থেকে। এই শোনো, --!
কী স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর জয়ন্তর। যেনো কিছুই ঘটেনি।  
ক্রোধে ফেটে পড়ে মহুয়া। একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। জয়ন্তকে বাঁধা দিয়ে কর্কশ স্বরে বলে ওঠে, ‘তা তো বুঝতেই পারছি! কিন্তু এতোক্ষণ তুমি কোথায় ছিলে?’

-‘কেন? অফিসে ছিলাম। বাইরে বের হবার ফুরসৎ কোথায়। ’

যেনো সত্যিই অফিসে ছিলো জয়ন্ত। কোনো আবেগ নেই, উদ্বেগ নেই, অনুশোচনা নেই। সারা দুনিয়া তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, কোনো খবরই নেই ওর! এতো অগ্রাহ্য, বেপরোয়া মনোভাব! 

ক্রোধে ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে গর্জে ওঠে মহুয়া, ‘মিথ্যে কথা। তুমি অফিসে ছিলে না। বিকেলেই বেরিয়ে গিয়েছিলে। কোন রাজকায্যে গিয়েছিলে বলো’?

গ্রাহ্যই করলো না জয়ন্ত। কোনো উত্তর দিলো না। মহুয়াকে উপেক্ষা করে স্বাভাবিক গলায় বলল, ‘শোনো বেবি, আমায় দিল্লি যেতে হবে। রাত দশটায় ফ্লাইট। কাল আর্লি মর্নিংয়ে হেড অফিসে জরুরি মিটিং রয়েছে। এক্ষুণি বেরিয়ে যাচ্ছি আমি। টুমরো আফটার নুনে ব্যাক্ করে তোমায় কল করবো, ওকে’! 

শুনে গা রি রি করে মহুয়ার। ওর সন্দেহ আরও ঘনীভূত হতে থাকে।  ক্ষোভে, অপমানে ও অভিমানের সমন্বয়ে উত্তেজনায় বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলে হাঁপাতে থাকে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, ‘যাও যাও, কথা বানিও না। আর কতোকাল মিটিংয়ের দোহাই দেবে শুনি! খবর রাখি না ভেবেছ’?

শুকনো একটা ঢোক গিলে চুপ করে থাকে জয়ন্ত। মুখ দিয়ে আর বুলি বের হয়না। মহুয়া বললো, ‘জানি, জবাব দেওয়ার মতো তোমার কাছে আজ কিছুই নেই। ছিঃ জয়, ছিঃ, ভাবতেও আমার ঘেন্না করছে। তুমি এতো নীচে নেমে যাবে, কখনও স্বপ্নেও কল্পনা করিনি’।

নিজের দুর্বলতা প্রকাশ পেলেও গলাবাজি গেলো না জয়ন্তর। সামান্য চটে গিয়ে বলে, ‘হোয়াট ডু ইউ মিন? আমায় অবিশ্বাস করছো? কী বলতে চাইছো তুমি’?
চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গল্প এর সর্বশেষ