ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

চা বাগানের শতাধিক গাছে অনুমোদনহীন কুড়াল 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
চা বাগানের শতাধিক গাছে অনুমোদনহীন কুড়াল  স্তুপাকার করে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চা বাগানের ছায়াবৃক্ষসহ প্রায় দুই শতাধিক গাছে পড়লো অনুমোদনহীন কুড়াল। বর্তমানে এ গাছগুলো চিড়ানোর জন্য স’মিলে রাখা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাও চা বাগান কর্তৃপক্ষ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে। চা বাগানের বিভিন্ন সেড ট্রি কেটে ম্যানেজার বাংলোর আশেপাশে স্তুপাকার করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শিরীষ, বেনজিয়াম, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতি ও বয়সের গাছ রয়েছে।

সম্প্রতি গত কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব গাছ কেটে ফেলা হলেও বন বিভাগ জানিয়েছে এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তবে বাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে গাছ কাটার অনুমতি না নিলেও গাছগুলো স’মিলে চিরাই করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক কলোনির ঘর নির্মাণ ও রিপিয়ারিং কাজের জন্য এসব গাছ কাটা হয়েছে। বিভিন্ন সময় ঝড়ে এসব গাছ পড়ে গিয়েছিল। মৃত গাছে উলু পোকা আক্রমণ করে থাকে। চা গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে-এমন আশংকা থেকে এসব গাছ কাটা হয়েছে। ঝড়ে পড়া কিছু গাছ বাগান থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী বস্তি ও গ্রামের মানুষেরা।  

তিনি আরো বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি না থাকলেও স’ মিলে গাছ চিরাই করার জন্য অনুমতি চেয়ে বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। বাগানের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে কবলে প্রায় শতাধিক গাছ পড়ে যায়। এগুলোই কাটা হয়েছে।

সিলেট বন বিভাগ মৌলভীবাজারের রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃক গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানি না। চা বাগানের গাছ কাটতে বন বিভাগ ছাড়াও চা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।  

সাতগাঁও চা বাগানের এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে তিনি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।