ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

২০ লাখ শিশু চারায় হাসবে চা বাগান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪৭, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
২০ লাখ শিশু চারায় হাসবে চা বাগান ২০ লাখ নতুন চা গাছের চারা-ছবি : হক ইবাদুল

মৌলভীবাজার: বাড়ছে চাপ্রেমীদের সংখ্যা। দিন দিন চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েই চলেছে। সরকার থেকে একটি সুনির্দিষ্ট মেয়াদে লিজ নিয়ে চা আবাদ করে আসছে বিভিন্ন চা কোম্পানি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। 

‘রুগ্ন’, ‘মাঝারি’ এবং ‘উন্নত’ এই তিন ধরনের চা বাগানের ক্যাটাগরিতে (বিন্যাস) বিস্তৃত হয়ে আছে সারাদেশের ১৬৬টি চা বাগান। ‘রুগ্ন’ অর্থাৎ দুর্বল চা বাগানগুলো ‘মাঝারি’ অবস্থানে যেতে এবং ‘মাঝারি’ চা বাগানগুলো ‘উন্নত’ অবস্থায় পৌঁছাতে সবুজ পাতায় পাতায় উৎপাদন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।

 

কিন্তু বাড়ছে না চায়ের গড় উৎপাদন। ফলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) নির্দেশ মোতাবেক প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে নতুন করে চা আবাদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের নীতিমালার মধ্যে রয়েছে প্রতি বছর মোট ভূমির শতকরা আড়াই ভাগ করে চা সম্প্রাসারণ করতেই হবে।  

কোনো কোনো চা বাগান আবার বিটিবি’র বেঁধে দেওয়া নতুন আবাদের বাৎসরিক হারের চেয়ে অনেক বেশি আবাদ করছে। তেমনি একটি চা বাগানের নাম বারোমাসিয়া চা বাগান।   

অভিজ্ঞ টি-প্লান্টার এবং বারোমাসিয়া চা বাগানের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হক ইবাদুল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এই নার্সারিটি করেছি পুরো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। এখানে আমরা চারার ব্যাগগুলো বসিয়েছি তিন কোণা পদ্ধতিতে। যাতে একটা পাতা অপর পাতাকে না ঢেকে রাখে। যেহেতু দেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে তাই আমাদের চা বাগানের ভূমির যথাযথ ব্যবহার করছি। ২০১৯ সালে চা বাগানে আমরা সর্বাধিক চা রোপণের ব্যবস্থা করবো।  

তিনি আরও বলেন, এক একরে চারা লাগে ৭ হাজার ২৫০টি। সে হিসেবে আমাদের টার্গেট হলো এক বছরের প্লান্টেশন (আবাদ) করবো। এর উদ্দেশ্যই হলো ভূমির যথাযথ ব্যবহার। আমাদের চা বাগানের লিজ নেওয়া ভূমির পরিমাণ ৩ হাজার ২শ’ একর। আর চা বাগানে প্লান্টেশন (আবাদ) এর পরিমাণ ১ হাজার ২শ’ একর। এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো আমরা দ্রুত শেষ করবো।  

আমাদের টি কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানির আওতাধীন চট্টগ্রামে তিনটা চা বাগান রয়েছে। এগুলো যথাক্রমে বারোমাসিয়া টি এস্টেট, এলাহী নূর টি এস্টেট এবং রাঙ্গাপানি টি এস্টেট-জানান হক ইবাদুল।  

নতুন করে চা আবাদ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ১১৭ হেক্টর জমিতে ২০ লাখ চারা লাগাবো। আমরা আড়াই ভাগের বেশি পরিমাণ জায়গা আবাদ করবো। ঠিকমতো চা আবাদ করলে নতুন চারা লাগানোর দু’ বছরের পর থেকে ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে ফলন পেতে গেলে লাগবে প্রায় পাঁচ বছর। তবে ছয় বছরে ফসল খুব ভালো পাওয়া যায়।  

টি কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানির আবাসিক পরিচালক বাবুল বিশ্বাস বলেন, আমাদের এই কোম্পানির তিনটি বাগানই খুব সিক (রুগ্ন বাগান) ছিল। বিশেষ করে বারোমাসিয়া টি এস্টেটের উৎপাদন মাত্র এক লাখ কেজি চা ছিল। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বর্তমানে এই তিনটি বাগানই উন্নত হয়েছে। এখন বারোমাসিয়ার গড় উৎপাদন প্রায় দশ লাখ কেজি চা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৭ ঘণ্টা, ৩০, নভেম্বর, ২০১৮ 
বিবিবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।