ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দেশের নতুন পাখি ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
দেশের নতুন পাখি ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি’ দেখা পাওয়া নতুন পাখি ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি’। ছবি: হাসনাত রনী

মৌলভীবাজার: পৃথিবীতে পাখি প্রজাতির সংখ্যা ৯ হাজার একশ’ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে রয়েছে বলে পাখি বিশেষজ্ঞদের ধারণা। ভারতীয় উপমহাদেশে পাখি প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২শ’টি। আর আমাদের বাংলাদেশে আবাসিক ও পরিযায়ী প্রজাতি মিলিয়ে প্রায় ৫৬৬ প্রজাতির পাখি রয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে।

প্রতি বছরই কোনো না কোনো নতুন পাখির প্রজাতির দেখা মিলছে বাংলাদেশে। পাখিপ্রেমীরা নতুন নতুন পাখি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানাতে পারছেন।

তাদের মতে, আরো ব্যাপক গাছপালা এবং বন সৃজন করতে পারলেই পাখিরা নির্ভয়ে ছুটে আসাবে সবুজ বাংলাদেশে। ‘পাখির দেশ, বাংলাদেশ’ শিরোনামটি সার্থকতা খুঁজে পাবে।  

সম্প্রতি রাজশাহী থেকে পাখি আলোকচিত্রী হাসনাত রনীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে আরও একটি নতুন প্রজাতির পাখি। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব এর নামকরণ করেছে ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি’। এর ইংরেজি নাম ‘Brown-capped pygmy Woodpecker’।

গত ০৫ মে রাজশাহীর কাছাকাছি এলাকা থেকে পাখিটির ছবি তুলেছেন পাখি আলোকচিত্রী হাসনাত রনী।

হাসনাত রনী বলেন, ‘বাংলাদেশ পেলো নতুন আরেকটা পাখি। বেশ শিহরণ জাগলো। যারা ‘ওয়াইল্ডলাইফ’ নিয়ে কাজ করেন বা এসব ব্যাপারে একটু হলেও আগ্রহ আছে, তারা সকলেই বুঝবেন যে, একবিংশ শতাব্দীতে এসে ‘নতুন একটা পাখি’ খুঁজে পাওয়া কী দারুণ আনন্দের ব্যাপার!’

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটি একটি নতুন ‘বাটকুড়ালি’ প্রজাতির পাখি। এর নামকরণ করেছি ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি’। এর মাথার ওপরে ও চোখের পেছনে খয়েরি রঙ রয়েছে। পাখিটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১৪ সেন্টিমিটার। ’

নতুন পাখি ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি।  ছবি: হাসনাত রনীতিনি আরো বলেন, ‘এটি খুব ছোট ‘কাঠঠোকরা’ (Woodpecker) প্রজাতির পাখি। ছোট আকৃতির কাঠঠোকরা পাখিগুলোকে ‘কাঠকুড়ালি’ বলা হয়। কিন্তু আমি এই কাঠকুড়ালি প্রজাতির পাখিকে সুবিধার্থে ‘বাটকুড়ালি’ নামকরণ করেছি। আমাদের দেশে বহুদিন ধরে একটিই বাটকুড়ালি ছিল। এটি ভারতে আছে। কিন্তু আমাদের দেশে আগে কখনো দেখা যায়নি’।

ইনাম আল হক জানান, ‘বহুদিন ধরে খুব কম সংখ্যক ‘খয়রাটুপি বাটকুড়ালি’ হয়তো ছিল। একটি-দু’টি থাকলে তো চোখে পড়বে না। আমরা ভাগ্যবান। অবশেষে নতুন এ পাখিটি রনীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছেন’।

‘শ্রীলঙ্কা থেকে শুরু করে ভারতবর্ষের সমতলে সর্বত্র রয়েছে পাখিটি। রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। আমাদের সীমান্তজুড়েও রয়েছে পাখিটির অবস্থান। সুতরাং, এ পাখিটিকে আমাদের দেশে দেখা যাওয়া স্বাভাবিক’ বলেও জানান পাখি বিজ্ঞানী ইনাম আল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
বিবিবি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।