ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

মাইক্রোপ্লাস্টিকের ভয়াবহতা রোধে কঠোর নীতিমালার প্রয়োগের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
মাইক্রোপ্লাস্টিকের ভয়াবহতা রোধে কঠোর নীতিমালার প্রয়োগের দাবি

ঢাকা: প্লাস্টিকের মাইক্রো অংশসমূহ শ্বাস-প্রশ্বাস ও ত্বকের মাধ্যমে প্রাণীদের দেহে প্রবেশ করে এবং তা জমাকৃত অবস্থায় থাকে। মানব দেহের ফুসফুস, যকৃত, প্লীহা এবং কিডনিতে প্লাস্টিকের মাইক্রো অংশ পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের ভয়াবহতা রোধে জন্য কঠোর নীতিমালার প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জরুরি বলে মনে করছে অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ইন বাংলাদেশ (এডাব)।

সোমবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এডাব আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান করি বসবাসযোগ্য পরিবেশ গড়ি’ শিরোনামের এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলা হয়।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাবের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ‘বিশ্বজুড়ে প্রতি মিনিটে প্রায় এক মিলিয়ন প্লাস্টিকের বোতল ক্রয়-বিক্রয় হয়। যদিও এখন পর্যন্ত প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মোট উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্যের প্রায় অর্ধেকেরই ডিজাইন করা হয়েছে কেবলাত্র একবার ব্যবহার করার জন্য। প্রথমবার ব্যবহার করার পরই তা ফেলে দেওয়া হয়। এই ফেলে দেওয়া বা প্রথমবার ব্যবহার করা প্লাস্টিক সামগ্রির প্রায় ৮৫ শতাংশই হলো অপচনশীল বর্জ্য হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আজ পর্যন্ত সারাবিশ্বে উত্পাদিত ৭ বিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্যের ১০ শতাংশেরও কম বর্জ্য পুনঃব্যবহৃত হয়েছে। প্লাস্টিক সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ যেমন মিথাইল পারদ, প্লাস্টিকাইজার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেসব প্লাস্টিক পণ্য কেবলমাত্র একবার ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় ৯৮ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্পাদিত হয়।

সভায় আলোচকরা বলেন, ‘প্লাষ্টিকের সর্বগ্রাসী ব্যবহার, ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগারায়ন, ইটভাটার নির্গত ধোয়া, সুউচ্চ বহুতলভবন নির্মাণ, খালবিল ভরাট, নদী ভরাট ও দখলের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। প্লাষ্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের পর যত্রতত্র না ফেলে তা আবার রিসাইক্লিং করে ব্যবহারের জন্য সরকারের পরিবেশ বিষয়ক কঠোর নীলিমালা প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এডাব চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামর সাধারণ সম্পাদক হাসান হাফিজ, মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।