শিল্পী বিদায় নেয়, তবে কর্ম দিয়ে যুগ যুগ বেঁচে থাকেন মানুষের হৃদয়ে। তেমনই একজন বরেণ্য সংগীত শিল্পী শাম্মী আখতার।
টানা পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
শাম্মী আখতারের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। তার সংগীত জীবনের শুরু হয় ছয় বছর বয়স থেকে। গানে হাতে খড়ি বরিশালের ওস্তাদ গৌর বাবুর কাছে। এরপর অনেক ওস্তাদের কাছে গানের তালিম নিয়েছেন গুণী এই শিল্পী।
১৯৭৫ সালে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন শাম্মী আখতার। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
১৯৭৮ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে’ শিরোনামের গানটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পান শাম্মী আখতার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, একের পর এক চলচ্চিত্রের গান নিজের কণ্ঠে তুলেছেন তিনি।
জীবদ্দশায় শাম্মী আখতার চলচ্চিত্রে প্রায় ৪০০ গান গেয়েছেন। ২০১০ সালে তিনি ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রে গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
শাম্মী আখতারের জনপ্রিয় গানগুলো হচ্ছে- ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুরাইছে’, ‘আমি তোমার বধু, চিঠি আসবে জানি আসবে, ‘তুমি আমার বন্ধু’, ‘বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইলো না’, ‘মনে বড় আশা ছিল তোমাকে শুনাবো গান’, ‘এই রাত ডাকে ঐ চাঁদ ডাকে’, ‘আমার মনের বেদনা বন্ধু ছাড়া বুঝে না’, ‘খোদার পরে তোমায় আমি বড় বলে জানি’, ‘আমি যেমন আছি তেমন রবো বউ হবো না রে’, ‘আমার নায়ে পার হইতে লাগে ষোল আনা’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল করছে রাত’।
ব্যক্তি জীবনে সংগীতশিল্পী আকরামুল ইসলামের সঙ্গে ১৯৭৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শাম্মী আখতার। তাদের দুই সন্তান কমল ও সাজিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এনএটি