ঢাকা, বুধবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

বিনোদন

শোবিজে এখন চলছে নীতির দুর্নীতি: তৌকীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
শোবিজে এখন চলছে নীতির দুর্নীতি: তৌকীর তৌকীর আহমেদ, ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টেলিভিশন চ্যানেল এখন চলে গেছে মার্কেটিংয়ের হাতে। তারা চান ৭৫ ভাগ মানুষের রুচি যা সেই অনুযায়ী অনুষ্ঠান নির্মাণ করি। আমার কথা হলো, ৭৫ ভাগ মানুষের রুচিতে আমি নেমে যাবো?

‘টেলিভিশন চ্যানেল এখন চলে গেছে মার্কেটিংয়ের হাতে। তারা চান ৭৫ ভাগ মানুষের রুচি যা সেই অনুযায়ী অনুষ্ঠান নির্মাণ করি।

আমার কথা হলো, ৭৫ ভাগ মানুষের রুচিতে আমি নেমে যাবো? নাকি তাদের রুচিকে আমার দিকে টেনে আনার চেষ্টা করবো?’ প্রশ্নটি অভিনেতা তৌকীর আহমেদের। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলী সমাবেশের মাঝামাঝি মঞ্চে এসে তিনি একথা বলেন।

তৌকীরের ভাষ্য, ‘বর্তমানে আমরা তিন ডজন চ্যানেলের বোঝা নিয়ে মেরুদন্ড বাঁকা করে কোনোরকম দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করছি। এদেশে তিন ডজন টেলিভিশন চ্যানেলের কোনো দরকার ছিলো? বিনিয়োগকারী কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্তরা কী যোগ্য সেটা চালানোর জন্য? তাদের কোনো কমিটমেন্ট আছে কি? টেলিভিশন চ্যানেলের বিনিয়োগকারীদের দায়িত্ব যোগ্য, শিক্ষিত, নাটক জানা লোকদেরকে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য বসানো। ’

‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে টিভি সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের ১৩টি সংগঠনের জোট সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) আয়োজিত কর্মসূচিটিতে তৌকীর মন্তব্য করেন, ‘আমাদের মিডিয়াতেও দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। আমি এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করি। এ দুর্নীতি শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, এটা নীতির দুর্নীতি। কারণ এতে জাতির মন এবং মানস জড়িত। ’

শিল্পীরা জাতির রুচি তৈরি করেন বলে তৌকীরের মন্তব্য। তাই তার প্রশ্ন, ‘তাহলে আমাকে কেনো সেই ক্ষেত্রটি দেওয়া হবে না? এ দায়িত্ব কার? এ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুষ্ঠু নীতিমালা থাকার পর কোনো অনিয়ম হলে সেটা সরকার দূর করবে। সেই নীতি, দুর্নীতি, আর্থিক লেনদেন খুঁজে বের করতে হবে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়কে। দুর্নীতি বিশ্বের সবদেশেই আছে। কিন্তু কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা না রাখলে এফডিসির যে জীর্ণদশা হয়েছে, টেলিভিশন শিল্পের ভবিষ্যতও তা-ই দাঁড়াবে। আবার আমাদেরকে শুরু করতে হবে শুন্য থেকে। ’

এ সময় মঞ্চে আরও ছিলেন অভিনেতা আজিজুল হাকিম, শহীদুজ্জামান সেলিম, জাহিদ হাসান, অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত ও রোজী সিদ্দিকী। আজিজুল হাকিম বলেন, ‘টেলিভিশন শিল্প বড় হয়েছে। অনেক টিভি চ্যানেল হওয়ায় অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য কলাকুশলী কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা আমাদের শিল্পীদের দায়িত্ব। এটা পালনের জন্য অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। অন্য জায়গায় কাজের সুযোগ থাকলেও সেখানে যাইনি। দর্শকদের মধ্যে আমার ভাবনা ও দেশচেতনাকে উপস্থাপন করতে চাই। কিন্তু যে সংকট তৈরি হয়েছে তা বিদ্যমান থাকলে আমরা কর্মক্ষেত্র হারাবো, বেকার হয়ে পড়বো। ’

নবীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আজিজুল হাকিম বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদেরকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাই। যখনই কোনো আন্দোলন হয়, তখনই তাতে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এক ধরনের কুচক্রী মহল সক্রিয় থাকে। আমি আহ্বান জানাই, আপনারা কোনো প্রলোভনে সাড়া দেবেন না। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।