ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

গ্রণযোগ্যতা তৈরির পর ইভিএমে ভোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
গ্রণযোগ্যতা তৈরির পর ইভিএমে ভোট

ঢাকা: জনগণের কাছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) গ্রহণযোগ্যতা যদি নির্বাচন কমিশন তৈরি করতে পারে, তবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যন্ত্রটির ব্যবহার চায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।

সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে এসে দলটি এমন অবস্থানের কথা জানায়।

সংলাপে বাংলাদেশ আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির ভারপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপের পর আইভি আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন যেন দেয় আমরা সে কথা বলেছি এবং এজন্য যে বাধা আসবে তা মোকাবিলা করার জন্য বলেছি। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন। ইভিএম নিয়ে ওনারা খুব একটা কিছু বলতে পারেননি, যেহেতু ওনারা বিশেষজ্ঞ নন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রীর প্রভাব, পেশিশক্তির প্রভাব ও কালো টাকার প্রভাব কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, সেগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। ওনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের দলগুলোকেও সহায়তা করার জন্য বলেছেন। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করবো।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আইভি আহমেদ বলেন, ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা হলে আমরা গ্রহণ করবো। এটার জন্য মানুষ এখনো প্রস্তুত নয়। প্রস্তুত কতটুকু করতে পারবে, তা ওনাদের ওপর নির্ভর করবে। গ্রহণযোগ্যতা আনতে পারলে ইভিএম চাই। না হলে চাই না। যদি বুঝতে পারি ত্রুটিমুক্ত তাহলে অবশ্যই আমরা চাইবো।

গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকে সংলাপে আসার জন্য সময় দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দু'টিকে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সংলাপে বসার সময় দেয় ইসি।

যে নয়টি দল সংলাপ বর্জন করেছে:
বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।

সংলাপে অংশ নিয়ে দলগুলো তিন শতাধিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এর মধ্যে ১৪টি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে। চারটি দল ইভিএম ব্যবহার নিয়ে শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।