ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সিইসি মেরুদণ্ড শক্ত রাখবেন, আশা ডা. জাফরুল্লাহর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
সিইসি মেরুদণ্ড শক্ত রাখবেন, আশা ডা. জাফরুল্লাহর কথা বলছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জনস্বার্থ বিরোধী কিছু হলে মেরুদণ্ড শক্ত রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পদত্যাগ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বুধবার (২৪ জুলাই) সিইসির সঙ্গে নির্বাচন ভবনে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



সার্চ কমিটির কাছে সিইসির এই নাম প্রস্তাবকারী বলেন, আমার কাছে মনে হলো এখনো উনারা (সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার) শুনতে চান। আউয়াল সাহেবের একটা গুণ হলো উনিতো জজ ছিলেন, অপর পক্ষের বক্তব্য শুনতে চান। আমি এখনো আশাপ্রদ যে আমি আশাহত হবো না, উনি নিশ্চয় সফল হবেন। শক্ত থাকবেন। আমি মনে করি, জনস্বার্থ বিরোধী কিছু হলে মেরুদণ্ড শক্ত রেখে উনি পদত্যাগ করবেন।

তিনি বলেন, কমিশন খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে চলছে। সরকারের উচিত হবে কিছুটা গিভ অ্যান্ড টেক করে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এটা করতে হলে আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আজকেও হানিফ (আওয়ামী লীগ নেতা) বলেছেন দেড়শটাতে নয়, ৩শ আসনেই ইভিএম চাই। উনাদের জন্য ভালো হবে চুপ করে থাকা। এখন ইভিএমের কারণে যদি নির্বাচনটাই বন্ধ হয়ে যায়, ইলেকশনটা যদি বয়কট হয়, তাহলে এটা জাতির জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সবাইকে নির্বাচনে নেওয়া ইসির মূল দায়িত্ব। ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। এমন কিছু করবেন না যাতে নির্বাচনই না হয়। এজন্য আমার প্রস্তাব হলো ১৫০টির পরিবরর্তে ৩শ আসনের পাঁচটি করে কেন্দ্রে ব্যবহার করার।

তিনি বলেন, না ভোটের কথা প্রবর্তনের কথা বলেছি। না ভোটের ব্যাপারে মত আছে। ইভিএম নিয়ে হটকারিতা করতে না করেছি। বলেছি, আপনাদের ওপর ধীরে ধীরে আস্থা বেড়েছে। সেই সুনামটা অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করেন। সিইসি বলেছেন, আমরা ভেবে দেখি কি কি করা যায়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্য দল যদি ইভিএমের কারণে বয়কট করে দায়টা ইসির ঘাড়ে চাপবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সরকার যেমন দায়ী হবে, ইসিও তেমন দায়ী হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে উনারা যে শতভাগ একমত হয়েছেন তা না। উনারা সরকারের চাপে আছেন, উনারা ভাবছেন।

তিনি বলেন, ইভিএম আরেকটা ভোটের চক্রান্ত। কেন দায়িত্বটা আপনি নেবেন? সেজন্য বলেছি উল্টা কাজ করতে পারেন কিনা। দেড়শটাতেই না করে ৩শ’টাতেই পাঁচটা করে কেন্দ্রে হবে। তাহলে আমরা দেখতে পারবো, জানতে পারবো। আমাদের জন্য দরকার সুষ্ঠু নির্বাচন, শেখ হাসিনার জন্যও দরকার। গণতন্ত্র না হলে দেশে যে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত চলছে, এই ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা, এটা পাগলামি ছাড়া কী হতে পারে! এতে কয়টাবাতি জ্বলবে বা ইয়ে.. হবে। এসব নৈরাজ্যগুলো সরকার যেহেতু জনগণ বিচ্ছিন্ন, সেজন্য এই সমস্যাগুলো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইভিএমের পক্ষে তো আওয়ামী লীগ জোরেশোরে ছিল। তাদের হয়তো ব্যাক দেওয়ার মাইন্ড, কিছু না করলে বোধহয় উল্টাপাল্টা কিছু করে দেবে, উল্টাপাল্টা যে কিছু করে দেবে তা নয়। আস্থার অভাব। এটা বুঝতে হবে। ইভিএমের মাধ্যমে প্রতারণার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সেজন্য গ্রহণ করা যাবে না। তারপরে দেখেন রাশিয়া ৫৯ ডলারে পরিশোধিত ডলারে তেল দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বন্দী করে রেখেছে। তারা দিনের আলো দেখতে পারছে না।

জাফরুল্লাহ আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দিতে জোনায়েদ সাকীর পক্ষে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এই বিষয়ে সিইসিকে বলেছি, আপনি এটা শেষ (নিবন্ধন) করে দেন। তাহলে লোকে আপনাকে ভুল বুঝবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাফরউল্লাহ চৌধুরী রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কিছু দাবি নিয়ে দলটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইসিতে এসেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।