ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইউপি নির্বাচন

সিলেটে প্রচারকালেই ২ প্রার্থীর মৃত্যু 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২১
সিলেটে প্রচারকালেই ২ প্রার্থীর মৃত্যু 

সিলেট: ফলাফল যাই হোক। সেটা বিবেচ্য ছিল না, হয়তো! ভোটে অংশ নেওয়ার আগেই জীবন প্রদীপ নিভে গেল দুই ইউপি সদ্য (মেম্বার) প্রার্থীর।



তারা হলেন-সিলেটের সীমান্তবর্তী জনপদ কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল মতিন ও বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক ইউপি সদস্য শাহ শফিক মিয়া।

জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ৩ উপজেলার ১৫টি ইউপিতে নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। নির্বাচন ঘিরে ভোটের উত্তাপ গ্রামীণ জনপদে। প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের দুয়ারে।  

নির্বাচনের মাত্র দুই দিন বাকি থাকতেই সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে প্রচারণায় গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল মতিন।

তার স্বজনরা বলেন, আব্দুল মতিন বিগত দিনে দুই বার সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও তিনি বিজয়ী হওয়ার আশায় প্রার্থী হন।

স্থানীয়রা জানান, এবার আব্দুল মতিনের জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। নির্বাচনে তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি দিন-রাত ছিল তার ছুটে চলা। সোমবার রাত ৯টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণারকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে ফিরেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুল মতিন নামে এক প্রার্থী প্রচারণাকালে মারা যাবার খবর পেয়েছি। অসুস্থতার কারণে তিনি মারা যান বলে জানতে পেরেছি।

এদিকে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য শাহ শফিক মিয়া। ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হতে তিনি নির্ঘুম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।  

শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তালা প্রতীকে প্রচার মিছিল বের করেন। মিছিলটি ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে যাওয়া মাত্রই শফিক মিয়া জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। তাকে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শফিক মিয়ার ছোট ভাই শাহ জবির মিয়া বলেন, তার ভাই ষাটোর্ধ্ব বয়সেও নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। সুগার লেভেল কমে গিয়ে তিনি মারা যেতে পারেন, এমনটি ধারণা দিয়েছেন চিকিৎসকও।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।