ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

করোনার কারণে কোনো নির্বাচন পেছাবে না: ইসি সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
করোনার কারণে কোনো নির্বাচন পেছাবে না: ইসি সচিব

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রকোপের কারণে কোনো নির্বাচন পেছাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।  

রোববার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।

 

তিনি বলেন, যখন যে নির্বাচনের সময় আসবে তখন সেটির আয়োজন করা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে পৌরসভা নির্বাচন পেছানো হবে না নীতিগতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

জানা যায়, কমিশন সভার একাধিক বৈঠকে সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিতে ইসি সচিবালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনার আলোকে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার তালিকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছে কমিশন। তবে শীতে করোনা ভাইরাস প্রকোপ বাড়বে- এমন আশঙ্কা জানিয়ে ওই সময়ে নির্বাচন না করতে কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন অনেক পৌরসভার মেয়ররা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিমনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে করোনার কারণে নির্বাচন পেছানো হবে না। যখন যে নির্বাচন সামনে চলে আসবে সেগুলো আগে করা হবে।  

পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। এর আগে-পরেও হতে পারে।  

‘করোনার কারণে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কম। এইচএসসি পরীক্ষা হবে না। সব দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ’

চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের দিন সহিংসতায় একজন মারা যাওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিজেদের আন্তঃকোন্দলের ঘটনায় সহিংসতায় একজন মারা গেছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে নির্বাচন কমিশনারদের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে সরকার সমর্থক প্রার্থীর একচেটিয়া ভোট পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ সংখ্যক ভোট পাওয়া স্বাভাবিক বা অস্বাভিক এমন মন্তব্য করার মতো বিশেষজ্ঞ নই। তবে নির্বাচন নিয়ে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার বা প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ না এলে নির্বাচন খারাপ হয়েছে তা কীভাবে বলবো।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) সংশোধন প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, আরপিওর খসড়া সংশোধনী কমিশনারদের কাছে তোলা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অথবা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নির্ভর করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।