ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

নাসিম-সাহারার আসনে ভোটের সিদ্ধান্ত সোমবার

88 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
নাসিম-সাহারার আসনে ভোটের সিদ্ধান্ত সোমবার সাহারা খাতুন-মোহাম্মদ নাসিম

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে ২০ জুলাই (সোমবার) সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন কমিশন বৈঠকে উপ-নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার বিকেল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এতে মোহাম্মদ নাসিমের সিরাজগঞ্জ-১ আসন ও সাহারা খাতুনে ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
 
এছাড়াও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লার ঢাকা-৫ ও শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পাবনা-৪ শূন্য আসনের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে।
 
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে করোনা মহামারির মধ্যেও ভোট করে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধিতে নির্বাচনের ভূমিকা নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিল ইসি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই ভোটে অংশ নেওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ফলে চারটি শূন্য আসনেই ভোট নেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশন।
 
ইসি সচিব মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের অভিজ্ঞতা নিয়েই পরবর্তী উপ-নির্বাচনগুলোর সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম আমরা। সদ্য সমাপ্ত (১৪ জুলাই) নির্বাচন দু’টি ভালো হয়েছে। এখন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে কী করবেন।
 
সিরাজগঞ্জ-১ আসন:

মোহাম্মদ নাসিম গত ১৩ জুন নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
 
সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তী ৯০দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
 
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহামারির কারণে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করা সম্ভব না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সংবিধান দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে আরো ৯০ সময় দিয়েছে। এক্ষেত্রে আসন শূন্য হওয়ার ১৮০ দিন অর্থাৎ আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
 
ঢাকা-১৮ আসন:
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সংবিধানের ৯০ দিনের হিসাব অনুযায়ী এ আসনে ৬ অক্টোবর এবং সিইসির হাতে থাকা আরো ৯০ দিন ধরলে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করতে হবে।
 
ঢাকা-৫ আসন:
গত ৬ মে বার্ধক্যজনিত কারণে হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। ফলে ওইদিন আসনটি শূন্য হয়েছে বলে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।
 
সংবিধানে নির্ধারিত ৯০ দিনের হিসেবে অনুযায়ী আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার কথা। কিন্তু করোনার কারণে সব নির্বাচন স্থগিত রাখায় এর আগে ৩ আগস্টের পরবর্তী ৯০ দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
 
পাবনা-৪ আসন:
গত ২ এপ্রিল পাবনার সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরবর্তীতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
 
সংবিধানে নির্ধারিত ৯০ দিনের হিসাবে অনুযায়ী এই আসনের উপ-নির্বাচনের সময় শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এখন সিইসি হাতে থাকা পরবর্তী ৯০ দিনের হিসেবে অনুযায়ী, এ আসনে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করতে হবে।
 
ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চারটি উপ-নির্বাচন নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। তবে চারটিতেই ভোট হবে কি-না, কিংবা একইসঙ্গে হবে কি-না, তা কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
 
গত ১৪ জুলাই করোনার মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হলেও বগুড়া-১ আসনে ভোট পড়ে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর যশোর-৬ আসনে ভোট পড়ে ৬৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।