ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না বক্তব্য রাখছেন মাহবুব তালুকদার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ (এমপি) অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কেবল নির্বাচনী প্রচার নয়, কোনো কার্যক্রমেই অংশ নিতে পারবেন না।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

দুপুর ১২ থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় ছিলেন কমিশনার তালুকদার।

এছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

মাহবুব তালুকদার বলেন, দুইটি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ। এ বিষয়ে আমরা বলেছি, বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। অতি গুরুত্বসম্পন্ন কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি, বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।

মাহবুব তালুকদার বলেন, অতিগুরুত্ব সম্পন্ন সজ্ঞায় যেসব বিষয় তার মধ্যে এমপি, মন্ত্রীরা পড়েন। আইনত তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনী প্রচারণা নয়, কোনো নির্বাচনী কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে, তারা যার যার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। এছাড়াও ইভিএম কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব কেন্দ্রের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম থাকবে। ইভিএম আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।

উত্তর ও দক্ষিণে দুইজন সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী দায়িত্বে আছেন তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় এমপি, মন্ত্রীদের সুযোগ চাওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম তাদের আইন বের করে তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যে তারা পারবেন না। তারাই এতে আশ্বস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনটি আমাদের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জের। কেননা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আমরা ভোট করছি। কাজেই ভোটারের উপস্থিতি একটা চ্যালেঞ্জ। ভোটার উপস্থিতি কম হলে হবে না। আমরা চাই ব্যালট পেপারের মতো ইভিএমের ভোটারের উপস্থিতি হোক।

আমরা সব দলকে বলবো, তাদের সবার সহায়তা আমাদের দরকার। আপনার ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আমাদের সফলতা নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতির ওপর। এটা অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে দেখছি।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০/আপডেট: ১৬০০
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।