ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ডিসিসি ভোট: স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে লাগবে ৩শ স্বাক্ষর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
ডিসিসি ভোট: স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে লাগবে ৩শ স্বাক্ষর দুই সিটি করপোরেশনের লোগো।

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের মেয়র পদে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হলে ৩’শ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় এমনটি বলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ওই ৩’শ ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে, যাদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটার হতে হবে।


 
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনে ওই ৩’শ ব্যক্তির স্বাক্ষর নির্বাচন কমিশন যাচাই করে দেখবে। এক্ষেত্রে দ্বৈচয়নের ভিত্তিতে পাঁচটি নাম ও স্বাক্ষর নির্ধারণ করা হবে। ওই পাঁচ ব্যক্তির তথ্য সরেজমিন তদন্ত করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে তথ্যে কোনো গড়মিল হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া ৩শ’ ব্যক্তির চেয়ে সংখ্যায় কম হলে কিংবা ক্রমিক নম্বরে কোনো গড়মিল হলেও মনোনয়নপত্র বাতিল হবে।
 
এদিকে প্রার্থী হতে হলে, প্রস্তাবক ও সমর্থককেও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিলের ডিএনসিসি ভোটের সময় আব্দুল আওয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল সমর্থক নির্বাচনী এলাকার বাইরের ভোটার হওয়ায়।
 
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
 
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে ইসি।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে এক হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
 
ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে এক হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
 
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর উত্তরের মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ায় উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
 
সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদপূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
ইইউডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।