ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষকরা কাঙ্ক্ষিত জাতি গঠনের নিয়ামক শক্তি: খুবি উপাচার্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
শিক্ষকরা কাঙ্ক্ষিত জাতি গঠনের নিয়ামক শক্তি: খুবি উপাচার্য

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে নতুন যোগদানকারী প্রভাষকদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

নতুন যোগদানকারী শিক্ষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, শিক্ষকতা চাকরি নয়, একটি মহৎ পেশা। শিক্ষকতাকে অন্য কোনো পেশার সঙ্গে তুলনা করে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বিচার-বিশ্লেষণ করলে চলবে না। সর্বদা মনে রাখতে হবে তিনি এক মহান ব্রত পালন করছেন।  

তিনি আরও বলেন, কাঙ্ক্ষিত জাতি গঠন ও সমাজ পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি হলেন শিক্ষক। সময়ানুবর্তিতা হচ্ছে একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রথম গুণ। আদর্শ শিক্ষক হতে হলে শিক্ষার্থীদের চেয়েও নিজেকে অধ্যয়নে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীকে টার্গেট করেই শিক্ষাদান করতে হবে। যেন সেও বিষয়টি সহজে আয়ত্ত করতে পারে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাধারায় প্রভাষক হিসেবে সম্প্রতি যে ২৮ জন শিক্ষক যোগ দিয়েছেন তাদের উপাচার্য শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আপনারা জীবনের শ্রেষ্ঠ পেশাই বেছে নিয়েছেন। আপনারা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার বলেই এ নিয়োগ পেয়েছেন। এখন প্রয়োজন শিক্ষক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। তাই নিবেদিতভাবে এ মহান পেশায় কাজ করতে হবে। শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণায় জোর দিতে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য কাজই গবেষণা, যার মাধ্যমে নতুন নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।  

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের পর এখন পর্যন্ত কোনো ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এটা খুবই জরুরি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ পর্যন্ত এমনকি অন্য অনেক পেশায় এ ব্যবস্থা আছে। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের জন্য একটি উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির মাধ্যমে নবীন শিক্ষকদের জন্য অচিরেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিচিতি সভায় উপাচার্যের দিকনির্দেশনা ও প্রেরণামূলক বক্তব্যের জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক মো. তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক মো. মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সুতপা দে বর্ণা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।