ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

মেয়েদের জন্য মুক্ত বিহঙ্গের মতো পরিবেশ সৃষ্টির ইচ্ছা শিক্ষামন্ত্রীর

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
মেয়েদের জন্য মুক্ত বিহঙ্গের মতো পরিবেশ সৃষ্টির ইচ্ছা শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মেয়েদের জন্য মুক্ত বিহঙ্গের মতো পরিবেশ সৃষ্টির ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানুষের তৈরি করা নানা ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় বাধা মেয়েদের পায়ে শিকল পরিয়ে রেখেছে এবং তাদেরকে পেছনে টেনে রেখেছে। আমরা সেই সব শিকল কেটে দিতে চাই। মেয়েরা যাতে মুক্ত বিহঙ্গের মতো আকাশে উড়তে পারে আমরা সারা বিশ্বে সেই রকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।  

ছেলেমেয়েদের প্রয়োজনীয়তা এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমতার কথা বলি কিন্তু সমান ঠিক নয় যার যেটা প্রয়োজন, একজন ছেলের যা প্রয়োজন সে যেন তা পায় এবং একজন মেয়ের যা প্রয়োজন সে যেন তা পায় আমাদের সে রকম একটা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।  

মন্ত্রী বলেন, মেয়েরা নিরাপদে সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে এবং তাদের মেধার বিচ্ছুরন ঘটিয়ে তাদের জীবন গড়বে এবং সর্বোপরি এই পৃথিবীটাকে সুন্দরভাবে গড়বে। নারীকে বাদ দিয়ে পরিপূর্ণ বিশ্ব গঠন করা সম্ভব না। তাই ছেলেমেয়ে যার যে সুযোগ প্রয়োজন সেই সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

 শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনা আমাদেরকে অনেক আটকে রেখেছে তা সত্য কিন্তু করোনা আমাদেরকে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে কিভাবে সামনে এগোতে হবে তা শিখিয়েছে। প্রতিবন্ধকতাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছেন কেউ আমাদের দাবায় রাখতে পারবে না, নিশ্চয় পারবেনা।  

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, কন্যা বলে একটি শিশুকে আলাদা করে দেওয়া হয়। কন্যা ও ছেলের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকা উচিত না।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে সরকার ও নানান পর্যায়ের সংগঠনের সাথে মাউশি এক সাথে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে রাখী সরকার বলেন, কন্যা শিশুদের সম্মান ও মর্যাদা পূর্ণ জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে রুম টু রিড ২০০৯ সাল থেকে কাজ করে আসছে। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস ১০ বছর পূর্ণ করেছে কিন্তু কন্যা শিশুদের সারা বিশ্বব্যাপী এখনো শিক্ষা অর্জন ও শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সহিংসতা বন্ধে মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন মেয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হ‌ওয়া ও বাল্যবিয়েসহ নানা সমস্যা নিয়ে ‌‘প্রসঙ্গ কোভিড: কেমন ছিলাম কেমন আছি’ নামে মঞ্চ নাটক পরিবেশন করেন। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার’।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০২২
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।