ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের গ্রন্থাগার প্রভাষকদের স্বপদে বহালের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের গ্রন্থাগার প্রভাষকদের স্বপদে বহালের দাবি

ঢাকা: বেসরকারি কলেজের গ্রন্থাগার প্রভাষক এবং সহকারি (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) শিক্ষকরা জাতীয়করণের পরে ১০ম ও ১৪ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ আগে তারা ৬ষ্ঠ, ৭ম ও দশম গ্রেডে বেতন পেতেন।

এক মাসের মধ্যে এই বৈষম্য নিরসন না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ গ্রন্থাগার পেশাজীবী পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, আমরা সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজে বেসরকারি আমলে (এমপিওভুক্ত) গ্রন্থাগারিক ও সহকারি গ্রন্থাগারিকরা যথাক্রমে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে যোগদান করে অনেকে টাইমস্কেল পেয়ে ৯ম, ৭ম এবং ৬ষ্ঠ গ্রেডে কর্মরত আছি। গত বছর পদ দুটির নাম পরিবর্তন করে গ্রন্থাগার প্রভাষক ও সহকারি শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে এমপিও শিটে শিক্ষক হিসেবে এবং নির্ধারিত বেতন গ্রেড বিদ্যমান রয়েছে।

তারা জানান, জাতীয়করণকৃত কলেজে আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বেসরকারি আমলে (এমপিও ভুক্ত) কর্মরত সব শিক্ষক কর্মচারীর ক্ষেত্রে স্ব পদে স্ব গ্রেডে পদ সৃজন করে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শুধু গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদ দুটির ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকার পরও গ্রেড অবনমন করে গ্রন্থাগারিক ৯ম গ্রেডের পরিবর্তে ১০ম গ্রেড এবং সহকারী গ্রন্থাগারিকদের ১০ম গ্রেডের পরিবর্তে ১৪তম গ্রেড দেওয়া হচ্ছে। যা জাতীয়করণের আগে যোগদানকৃত পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে সরকারি হলেও বেতন-ভাতাদি বেসরকারি আমলের বেতনের অর্ধেকে নেমে এসেছে। এমন নজির বাংলাদেশ, তথা পৃথিবীর কোথাও নেই।

ফরহাদ আরও বলেন, গ্রন্থাগারিক ও সহকারি গ্রন্থগারিকরা ১০ থেকে ৩০ বছর চাকরিরত থাকার পরও আমাদের পদসৃজন করে যোগদানকৃত গ্রেডও বহাল রাখা হচ্ছে না। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো বিধি ছাড়া আত্তীকরণের ফলে অবিচার করা হয়েছে। এতে আমরা চরমভাবে আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। জাতীয়করণকৃত কলেজগুলোর গ্রন্থাগার পেশাজীবীদের মাউশি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সুপারিশকৃত ও সম্মতি দেওয়া ৯ম গ্রেড ও ১০ গ্রেডের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রণালয় অসম্মতি দেওয়ায় আমরা গ্রন্থাগার পেশাজীবীরা হতাশ এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।

বাংলাদেশ সরকারি কলেজ গ্রন্থাগার পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে এসময় ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- সদ্য জাতীয়করণ হওয়া কলেজে কর্মরত গ্রন্থাগার প্রভাষক ও সহকারী শিক্ষকদেরকে স্বপদে ও স্ব-গ্রেড যথাক্রমে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে আত্তীকরণ করতে হবে, আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ মোতাবেক সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অ্যাডহক নিয়োগ দিতে হবে, বেসরকারি আমলে এমপিওভুক্ত বিধি মোতাবেক অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়ার পর সিলেকশন গ্রেড দিতে হবে, সহকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে গ্রন্থাগার প্রভাষক করতে হবে,গ্র ন্থাগার আইন প্রণয়ন এবং সব গ্রন্থাগারে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রকাশ চন্দ্র সরকার, হুমায়ুন কবির, আব্দুল হান্নান, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯, ২৮ জুলাই
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।