রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে নিজ জেলা কুড়িগ্রাম থেকে আসবেন পরিচিত কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। তাদের থাকার সিট খুঁজতে ছুটে যান শহরের বিভিন্ন হোটেলে।
আবাসিক হোটেলে সিট দেওয়ার কথা বলে এভাবে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাবি শিক্ষার্থী দুলাল চন্দ্রকে। পরে তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে মারধর করে মোবাইল-টাকাসহ সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরের আলীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দুলাল দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পরে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিকশায় করে ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেন। পরে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ বলেন, দুলাল পরিচিত কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে সিট খুঁজতে গেলে কয়েকজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা তাকে সিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে রিকশায় তুলে নেন। পরে তারা তাকে নিয়ে রিকশায় করে পাশের আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ায় যান। সেখানে তাকে প্রচণ্ড মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান তারা। দুলাল অভিযুক্ত তিনজনের নাম বলেছে, কটা, আলাল এবং হাসিব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. সলীল সমাদ্দার বলেন, দুলালের মাথার পেছনে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে কিছুটা কেটে গেছে। হাতের কব্জিতেও ব্লেড দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। মাথায় আঘাতের কারণে দুলাল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আগে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাটা জরুরি। তারপর কারা এমন করেছে, কী কারণে করেছে, তা বের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এসআই