ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি (সিলেট): একটি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কেটে উঠতে না উঠতেই ফের বন্যার কবলে সিলেট। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির ফলে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে (১৭ জুন) সকালে জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় শনিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেল থেকে শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেল পর্যন্ত কোমর পর্যন্ত পানি উঠছে। এতে মেয়েরা পানি বন্দী হওয়ায় হল থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়া ক্যাম্পাসের এককিলো রোড, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, চেতনা-৭১, একাডেমিক ভবন, ইউনিভার্সিটি সেন্টার, প্রথম ছাত্রী হল, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশ জায়গায় হাঁটু থেকে কোমর অব্দি পানি উঠেছে। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সন্ধ্যা ৭টায় ক্যাম্পাস থেকে শহরের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে গেছে।

অনুভূতি জানিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম সিফাত বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি খুবই লাজুক অবস্থা। তাই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।

প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থী রায়হানা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে বন্যার পানি বাড়ার ফলে আমরা হলে আটকা পড়েছি। প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের বের করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে, অনেকে যাচ্ছে। এছাড়া হক খোলা থাকলেও পানি, বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক নেই তাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া বেটার মনে করছি।

শাহপরান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে সব জায়গায় পানি উঠে গেছে। সকাল থেকে বিদ্যুৎ চলে গেছে। হল খোলা থাকলেও খাওয়া-দাওয়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নেটওয়ার্ক সবকিছুর সমস্যা হচ্ছে। তাই বাড়িতে চলে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থামছেই না! সময় যতই গড়াচ্ছে বন্যার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে! ক্যাম্পাসে হাঁটু অব্দি পানি হয়েছে, পানি আরো বাড়ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল সমূহ খোলা থাকবে। কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে চাইলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে।

এদিকে সিলেটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ক্যাম্পাসে সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে ক্যাম্পাস থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে বাস দিয়ে সহযোগিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।