ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

দুই যুগেও এমন বন্যা দেখেনি শাবিপ্রবি

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
দুই যুগেও এমন বন্যা দেখেনি শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি (সিলেট): গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যার কবলে পড়েছে সিলেটের মানুষ। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি।

ফলে নগরের পাশাপাশি বন্যার পানি ঢুকেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসেও। এতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের এক কিলো রোডে, চেতনা-৭১ এর সামনে, একাডেমিক ভবন এ, বি, ডি ও ই-এর সামনে, ইউনিভার্সিটি সেন্টার, প্রথম ছাত্রী হল, প্রধান প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশ জায়গায় হাঁটুপানি। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া সময় যত গড়াচ্ছে, বাড়ছে বন্যার পানি, বাড়ছে শঙ্কা। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বিষাক্ত পোকামাকড়, সাপ ও কেঁচোর উপদ্রব বাড়ায় শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।

ছবি: বাংলানিউজ

বন্যার কথা জানিয়ে প্রথম ছাত্রী হলের শিক্ষার্থী রায়হানা ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে পানি থেকেও বড় সমস্যা হলের পানি, নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ। পানি বাড়ার কারণে হলের মটর খুলে ফেলা হয়েছে। এখন ট্যাংকে যে পানি আছে ওটাই ভরসা। বিদ্যুৎ নেই, আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে আসবে কিনা তাও জানি না।

তিনি আরও বলেন, এক কিলো ও হলের আসা-যাওয়ার রাস্তায় পানি থাকায় গাড়ি চলাচল করছে না। টমটম ও অটোরিকশাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আমাদের যাতায়াত করা কঠিন হয়ে উঠেছে। আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান তারেক বলেন, হঠাৎ করে ক্যাম্পাসে পানি উঠায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পানির কারণে প্রধান কয়েকটি সড়ক ডুবে গেছে। আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। এছাড়া মেসে থাকা অনেক শিক্ষার্থী বন্যার পানির কারণে বিপাকে পড়েছে।

ছবি: বাংলানিউজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা হলে প্রভোস্টসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশে পানি বাড়ায় পোকামাকড় ও সাপের উপদ্রব বাড়ছে। হলের শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে রাতে ঘুমানোর সময় যাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, ১৯৯৮ সালের পর এবার শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বিগত ২৪ বছরে এমন পানি আর হয়নি। এবার সিলেটে একের পর এক বন্যা হচ্ছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। সামনে আরো ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে।

ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শাহপরাণ হল, প্রথম ছাত্রী হল, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী এলাকা তপোবন, সুরমা, নয়াবাজার, টুকেরবাজার, টিলারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।