ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে ‘রূপরেখা’ হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে ‘রূপরেখা’ হচ্ছে

ঢাকা: যত্রতত্র গড়ে ওঠা অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বলেছেন, এজন্য তারা একটি রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছেন।

রোববার (১২ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি একথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মতো হুট করে বন্ধ করে দেওয়া যায় না। পরিকল্পনা করে বন্ধের জন্য একটি রূপরেখা তৈরির চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে অনুমোদনহীন সিংহভাগই প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাখা হবে না। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করব। আর নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ পর্যায়ের অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কিন্ডারগার্টেন নতুন শিক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শিক্ষাক্রমে সহজে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায় না। এ কারণে কেউ কেউ ইংরেজি শিক্ষাক্রম বা অন্য উপায়ে যত্রতত্র এসব প্রতিষ্ঠান খুলছে।

শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আইনের চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা: ১৫ জুন থেকে তিন সপ্তাহ কোচিং সেন্টার

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।